বিজন গ্রীস্মের দুপুর খাঁ খাঁ রোদ্দুর,
সাঁকোর উপর বসে থাকে ঠায়,
ইতি উতি এদিক সেদিক তাঁকায়,
কি দেখে?
কাকে খোঁজে?
কেউ কি আছে অপেক্ষায়?
বোঝা যায় না ঠিক ব্যাপারখানা কি!
মাথার উপরে ক্রমশ ঘুরে চক্রাকারে,
একটা কাক দেখি,
কাক কি কোন অশুভ পাখি?
হঠাৎ তৈরি হয় একটা আলোড়ন,
জলের উপর,
কার টান ছিল বেশী প্রখর?
স্রোতের, না কারো অপেক্ষার?
কেউ রাখে নাই খোঁজ, করে নাই বারণ,
হয়তো জীবন ছিল তার কাছে এক তাড়ন!
প্রখর সূর্যের আলো ধীরে ধীরে মুছে যায়,
অন্ধ আকার নেয় জলের তলায়।
আঁধারে যুঝে যেমন ফুরায় কূপির তেল,
জলেতে ভেসে উঠে তার জমজ স্যান্ডেল,
দুইদিকে ভেসে যায়,
ঢেউয়ের দোলায়,
কতনা আপন ছিল তারা সৃষ্টির পর,
একজন ছাড়া অন্যজন নিথর,
এমন একজন প্রিয়জন তার,
বোধহয় কেউ ছিল না অভিমানী লোকটার!
০২/১২/২০২৪ খ্রিঃ