সবুজ গাঁয়ের মাটির সড়ক,
দুইপাশে গাছের সারি,
হলুদ বোলের চাপা ঘ্রাণে,
চলেছি ফাগুনের সঞ্চারী,
দেখছি চেয়ে ঢোল কলমি, কতক বুনোফুল,
উত্তরী বায় হেলে দুলে খাচ্ছে সুখে দোল,
পাখ পাখালির কলকাকলি,
পাতার সুরেলা ধ্বনি,
মিলেমিশে এক বিষন্ন বিকেল,
চারপাশে হাসে শুনি,
ক্ষণিকের নিরবতায়,
হারালাম কি ভাবালুতায়!
এক নিমিষে মনে পড়ে গেল সোনালী শৈশব,
বদলে যাওয়া গ্রামখানি কত আনন্দের উৎসব,
উত্তর দক্ষিণে শস্য ক্ষেতের, বুকের মাঝখান দিয়ে,
আকাশ খোলা প্রশস্ত এক, ধূলি উড়া পথ পেরিয়ে,
কত হাটুরে, ফেরিওয়ালা গেছে ভিন গাঁয়ের পরে,
চেনা অচেনার যাতায়াত ছিল এই মেঠো পথ ধরে,
গাঁয়ের পাশে সেই যে ছিল, এক চিলতে নদী,
দখিন হাওয়ায় ছোট ছোট ঢেউ বইছে নিরবধি,
হাত বাড়িয়ে ডাকছে যেন ছড়ানো সেই সব,
নতুনের ভিড়ে পড়ছে মনে পুরনো অনুভব,
কতদিন পর প্রিয় কারো সাথে আলিঙ্গনের সুখ,
বদলে গিয়েও অচেনা হয়নি, সেই সে প্রিয় মুখ,
এইতো আমার গ্রাম,
আমার গরীয়সী জন্মভূমি,
তোমারে বক্ষে ধারণ করে নিত্য জীবন চুমি,
এইখানে আমার শুরু, এই মায়ামাখা পরিবেশ,
তোমার বুকে জানি একদিন, আবার হবো নিঃশেষ।

১৮/০২/২০২৫ খ্রিঃ