শিক্ষক বললেন ছাত্রকে,
“ওরে বাছা,খুলে তোমার খাতাটি
‘ বর্ষা ঋতু ’ শীর্ষক রচনাটি
লিখে দাও দেখি আমাকে ।”
“পণ্ডিত মশাই,
এ ও কি আর হয় !
কেমনে দিব এক রচনায়
দুটি নায়িকার পরিচয় ।
বর্ষা থাকেন বাংলাদেশে
ঋতুপর্ণা কোলকাতায় ,
আপনিই বলেন পাতা ভরে
লিখবো টা কি খাতায় ? ”
“ওরে বোকা ,গ্রীষ্ম ,বর্ষা ,শরৎ ...
এসবের নাম শুনেছ তো।
গ্রীষ্মের পরেই বর্ষা আসে ।
মানে, অবস্থানে দ্বিতীয়ত ।
বসন্ত সকল ঋতুর রাজা ।
বর্ষা ঋতুর রানী ।
কদম ,জুঁই ফুল বর্ষায় ফোটে
আর লিখো ,যা যা জানি ।
বর্ষা ঋতুর নেই রূপের সীমা ,
হয় মাঝে মাঝেই বর্ষণ ।
অতিবৃষ্টি –অনাবৃষ্টি বাড়ায় ক্ষতি
সে তো মানে না দিন ক্ষণ ।
ম্যালেরিয়া –টাইফয়েড
দেখা যায় বর্ষায় ।
রোগের প্রকোপ কমায়
বাড়তি সচেতনতায় ।”
শিক্ষক আরও বললেন ছাত্রকে,
“বুঝলে বাছা ?খুলে তোমার খাতাটি
‘ বর্ষা ঋতু ’ শীর্ষক রচনাটি
লিখে দাও এখন আমাকে ।”
“পণ্ডিত মশাই,
এ ও কি আর হয় !
বর্ষাকালে বাদলা দিনে
মন যে ভিজতে চায় ।
না ভিজলে শৈশব আমার
পাছে হয়ে যায় ফিকে ।
তাই ' বর্ষা ঋতু ' রচনাখানি
শরতে দিব লিখে ।”
শিক্ষক মহান ,ছাত্রকে আর
করলেন নাকো জোর ,
অনুমতি পেয়ে , ছাত্রটি
দিলো এক ভোঁ দৌড় ।
০৭ জুলাই,২০১৪
“বরষার আয়োজন”