বল্লির সাথে দোল খেতে খেতে হারিয়ে গিয়েছি কবে!
সম্বিত ফিরে পেয়েছি সেদিন ডাহুকের কলরবে
পুষ্পের খাঁটে ঘুমিয়েছি কত হাসনাহেনার ছায়
শর্ষের ক্ষেতে ছুটেছি একা শিশির জড়ানো পায়।
শন শন রবে বাঁশঝাড় দোলে মত্ত হাওয়ার তালে
সেই সে কবে মিশে গিয়েছি জারুলের ডালে ডালে
উদোম দেহে লুটিয়েছি কত শীতল মাটির খাঁটে
লুকিয়ে ফিরেছি কৃষাণ বালার কলসি ভরানো ঘাটে।
খেলেছি কত লুকোচুরি ওই কাঠবেড়ালীর সাথে
জোৎস্নার জলে ভিজেছি তিমির ঝুম চাঁদোয়ার রাতে
হাওয়ার ভেলায় ভাসছি একা নীলাভ নদীর বুকে
মেঘবালারা ভাগ বসাল আমার পরম সুখে।
উদাস হিয়ায় আজো পিছু নেই শালিকের গানে গানে
অচেনা পথে ছুটে ফিরি রোজ ভৃঙ্গের কলতানে
কুঁড়ে কুটিরের দামালেরা সব মেতে ওঠে বৈশাখে
ঝুম বর্ষায় আজো ছুটে যাই কঁচা বারিধির বাঁকে
নির্জন রাতে নিদ টুটে যায় ছাতিমের সৌরভে
নন্দিত প্রাণে আমিও শামিল ঝিল্লির উৎসবে
প্রীতির সুতোয় জড়িয়ে ধরেছে মমতার মায়াজাল
বাংলার বুকে চাহে প্রাণ সদা বাঁচিবার মহাকাল।