থমকে গেছে সব,এইতো
কিছুক্ষণ আগেই এমন হলো।
বুঝতে পারিনি বলেই
পথের দুপাশে জমে থাকা ধুলোর কাছে
জানতে চেয়েছিলাম। আমি হতবাক,আনন্দিত!
মাটি বালির ধুলো যে বললো,তুমি আসছো।
তাইতো বটবৃক্ষের মাঝখানের
পিচডালা রাস্তাটা ফাকা
ধুলোরা স্থিমিত,অনড়
হাজার কণার মেঘ ভর করলো আকাশের বুকে
শহুরে কাকরাও কেমন জানি নিরব আজ
শুধু তোমার অপেক্ষায়।
তোমাকে আবারো দেখার লোভে
আমিও দাঁড়িয়ে পড়লাম পথের এক কোনে
জড়সড় হয়ে।
নুপূরের শব্দে ফিরে তাকালাম, হ্যা
অমবস্যার রাতে পদ্ম দীঘির পাড়ে যে নুপূর
পড়িয়ে দিয়েছিলাম তার আওয়াজ শুনলাম।
তোমার প্রতি পদক্ষেপে কেপে কেপে উঠছে ধুলোরা।
পাতা হয়ে যেন ভোরের সূর্য থেকে  শুষে নিচ্ছে প্রাণ
তোমার পিছু পিছু সবাই নেমে এলো
বটবৃক্ষের ফাকা রাস্তায়।
ঝরে পড়লো ভালোবাসার হাজার ফোটা জল।
দেখতে দেখতেই আবার সব
স্বাভাবিক হয়ে গেল।
কিন্তু!
পথের শেষে যে আমি দাঁড়িয়ে আছি
লক্ষ্য করোনি নিশ্চয়ই।তোমার
আলতো স্পর্শের জন্য ইতো অপেক্ষা কোরছি।
একটু দাও না ছুয়ে,আবার যেন নতুন করে বাচতে পারি
তোমার স্পর্শের মায়ায়।