অবাক স্বপ্ন দেখিয়া
জাগিয়া উঠি রাতে,
কে যেন ডাকিছে মোরে
স্বপ্ন রানীর বাটে ।

চলিয়াছি আমি তব
অঙ্গুলি ইশারে,
আদেশ করিছে যাহা
মানিতেছি আজ্ঞা ভরে ।

ভারী বর্ষণ উপেক্ষিয়া
ছুটিতেছি তব পিছে,
কালো বিল, কাটা বন
ফেলিয়া পায়ের নীচে ।

শত চন্দ্র বর্ষ পেছনে ফেলিয়া,
আলোকবর্ষ পায়ে দলিয়া,
মহাকর্ষের বাঁধ ভাঙ্গিয়া,
মহাবিশ্বের টান ছিঁড়িয়া,
বিজয়ী বীরের বেশে ।
চলিয়াছি সেই স্বপ্ন রাণীর দেশে ।

বিধির বিধান ভঙ্গ করিয়া,
অসীম মহাকাশ ভেদিয়া,
মহামায়া ছিন্ন করিয়া,
তেরো-তটিনী, সপ্তসিন্ধু পেরিয়া,
যেন লাখো বর্ষ শেষে ।
চলিয়াছি সেই স্বপ্নলোকের দেশে ।

স্বপ্ন রাণীর স্বপ্নপুরী
কত না স্বপ্নময়,
বলিতে গেলে হবে
শত রাত্রির ক্ষয় ।

অপরুপা সেই স্বপ্ন রাণীর
হাজার স্বপ্ন বুকে ।
বলিলেন, বাছা, চাও কি তুমি
আছে যা দ্যুলোকে ।

কি জানি কি ভাবিয়া আমি
চাহিলাম তার কাছে,
সুন্দর এক স্বপ্ন চাই,
তোমাতে কি তা আছে ।

স্বপ্ন ? স্বপ্নের দেশে স্বপ্ন ?
এ কেমন চাওয়া তোমার, বাছা,
ফের তুমি ভাবিয়া লও
ভাবিয়া লও হাছা ।

চাই না আমি হীরা-মানিক,
চাই না সোনার খনি ।
স্বপ্ন চাই, সুন্দর
এক স্বপ্ন দাও আনি ।

যে স্বপ্নে, রহিবে না কোন লোভ,
রহিবে না কোন যোগ,
করিবে না কেহ পাইবার আশ,
থাকিবে না বিলাস ভোগ ।

কেবল ত্যাগ আর
ধৈর্যই যার শেকড় ।
এমনি এক স্বপ্ন চাই
স্বপ্ন চির সুন্দর ।