পুতে মোড় শহারে গেছে চলিয়া
মোঃমেহেদী হাসান


মোরা  দুই বুড়ো বুড়ি আছি গ্রামে পড়িয়া পুতে মোর
পড়াশুনা  করে বৌ, বাচ্চা নিয়ে আছে শহারে পড়িয়া।
মোগো গোল পাতা হোগোল পাতার বানানো পুরাণ, ঘর সেই ঘরে ঝর বৃষ্টি আইলে যায় সব তলাইয়া।
মোড়া দুই বুড়ো বুড়ি পলিথিন মুড়া দিয়া থাহি চকিতে হুইয়া
বৃষ্টি পানি গায় গোতরে পরিয়া সব গা যায় ভিজীয়া
পুতে  মোর
চাকুরী করে শহারে তাই থাকে ফ্যালাট, বাসায় এসি রুমে বৌ, বাচ্চা লইয়া হুইয়া।
কতো কষ্ট করিয়া পুতেরে মুই ইস্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়,
পড়াশুনা করালাম এই কথা পুতে গেছে ভূলিয়া।
পড়াশুনা করার সময় পুতে মোগো দুই বুড়ো বুড়িকে কইছিলে মা-বাবা চিন্তা করোনা,
মুই পড়াশুনা করিয়া বিরাট চাকুরী লইয়া বাড়িতে বিল্ডিং উঠাইয়া থাকুম তোমাদের লইয়া।
এখন পুতে আমার বড়োলোকের মেয়ে বিবাহ করিয়া সব
কিছু গেছে ভূলিয়া মোনে ধরলে মাঝে চিঠি পত্র দেয়।
মোড়া দুই বুড়ো বুড়ি চিঠি পত্র দিয়ে টাকা পয়সা চাই কিন্তু মোরা,
দুই বুড়া বুড়ি পুতের কাছ থেকে মোডেও টাকা পয়সা পাইনা।
এদিকে পায়রা নদী দিন দিন যাইতেছে আছে পশ্চিম দিক থেকে ভাইগ্যা  মোগো,
আগের কালের বুড়ো বুড়ি কবর যাচ্ছে পায়রা নদীর  তুফান আইয়া ভাইঙ্গা।
কী আর করমু পুতেরে এতো চিঠি পত্র দিয়েও বাড়িতে আনতে পারিনা মোগো,
দুই বুড়ো বুড়ির নিকট যায়নি  শহারে বাসার ঠিকানায় কইয়া।
শহারের বাসার ঠিকানায় যদি পুতে মোড় যাইতে কইয়া তাহলে মোরা দুই
বুড়ো বুড়ি কাতার গাট্টি লইয়া যাইতাম নৌকায় চরিয়া শহরে চলিয়া।