আমার নিজ মাকে হারিয়ে দেশ মাকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি
মোঃ মেহেদী হাসান
১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধ সময় আমার অল্প বয়স, আমি জানেলার দিয়ে চেয়ে চেয়ে মুক্তি যুদ্ধ দেখছি।
আমি অভাক হয়ে দেখছি যুদ্ধর দৃশ্য কী আজব কান্ড কাহিনী পাকিস্তানিদের,
সাথে হাত মিলিয়ে রাজাকার গুরুপ মুক্তি যুদ্ধাদের ধরিয়ে দিচ্ছে।
আরও লক্ষ করলুম পাকিস্তানি দের হাতে অস্র, এগিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করছে রাজাকার লোকজন।
হঠাৎ আমার বাসায় এসে মুক্তি যুদ্ধা লোকজন দরজায়,
ধাক্কা মেড়ে বললেন কে আছেন বাসায় আমাদের বাঁচান।
পাকিস্তানি লোকজন আমাদের মেড়ে ফেলবে
আমার মা,
দরজায় খুলে ঘরের ভিতরে এনে তাদের পানি পান করান।
আমার মা তাদের কিছু বুদ্ধি শিখিয়ে দিলেন,
কী ভাবে পাকিস্তানিদের হত্যা করা যায়।
এমনকি কিছু শুকনো দানাদার খাদ্য দ্রাব্য তাদের নিকট তুলে দেন এমনি,
টাইমে পাকিস্তানি এসে কিছু গুলি ছুড়ে মারলো সঙ্গে আমার মা মারা যায়।
মা মারা জাওয়ার দৃশ্য দেখে আমি আর ইস্তির থাকতে পারলাম না মুক্তি,
যুদ্ধাদের লোট করা পিস্তল দিয়ে আমি ওদের মেড়ে ফেলি।
হঠাৎ মুক্তি যুদ্ধা গণ বললেন তুমিও আমাদের সাথে যুদ্ধে চলো আমরা,
ছোট আর বড় নয় সাবাই মিলেমিশে ওদের সাথে যুদ্ধ করবো।
অচিরি আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে সক্ষম হবো,
মায়ের মৃত লাশটি দাপন করে আমি ছোট মানুষ যুদ্ধে গেলাম।
অনেক কষ্ট করে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে গেলাম,
আমি এক পর্যায় পাকিস্তানি দের হাতে ধরা পরে গেলাম।
কী ভাবে ওদের হাত থাকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তার চিন্তায় করে,
আমাকে যে ধরে রেখেছে তার হাতে কামড় মেড়ে চলে আসি।
আসতে আসতে শুনি দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে পাকিস্তানি গণ,
পরাজয় মেনে নিয়েছে আজ থেকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
মনে বড় আনন্দ পেলাম যে যাক শেষ পর্যন্ত আমার নিজ মাকে,
হারিয়ে দেশ মাকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।