আমি জেলখানা থেকে বলছি
মোঃমেহেদী হাসান
আমি একটি ছোট্র শিশু পেটের ক্ষুধা মিটানোর জন্য
কতো মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে ছিলাম।
কেউ দেয়নি আমাকে কোন খাদ্য দ্রব্য,
সবাই আমাকে তারিয়ে দিয়েছে হঠাৎ এক মুহূর্তে
একজন প্রভাবশালী লোক এসে বললেন,
আমার সাথে চলো আমি তোমাকে খাদ্য দ্রব্য দিব।
কী করার ভাই! পেটের ক্ষুধা মিটানোর জন্য তার
গাড়িতে চরে রওনা দিলাম তার বাড়ির উদ্দেশ্য।
বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে পেট ভরে খাওয়ালো এবং বললেন
আজ থেকে আমার বাসায় থাকবি তুই আমার ছেলের মতো।
আমি আর না বলতে পারলাম না আমি ছোট্র মানুষ আমি যদি এই বাড়ি
ছাইড়া চইলা যাই তাহলে আমি আবারো ক্ষুধা যন্ত্রণায় মরবো।
একদিন আমি বড় হলাম লোকটি ছিলো বড় রাজনীতিবিদ
এবং প্রভাবশালী ধনি টাকা পয়সার মালিক।
আমার হাতে একটি পিস্তল দিয়ে বললেন
আমার নির্বাচনের সময় এসে গেছে,
তোর এই পিস্তল চালানো শিখতে হবে
তুই যদি আমার কথা না শোনো তাহলে তোমাকে মেরে ফেলবো।
কী আর করার ভাই নিজের জীবন বাচানোর জন্য,
পিস্তল চালানো শিখে নিলাম এবং তার আদেশ মানতে বাধ্য হলাম।
তুই আমার নির্বাচনের মিছিল সমাবেশ এর সময় আমার বক্তৃতা বলার সময় তুই
আমার পাশে থাকা ব্যক্তিকে টার্গেট করে গুলি ছুঁরে মেরে ফেলবি।
তাঁর ফলে মানুষ বুঝতে পারবে বিরোধী দলের কোন লোক
এই কাজ করছে আমাদের নেতাকে মেরে ফেলার জন্য।
সবাই বিরোধী দলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে
আমাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবে।
তারপর আমি এই দেশের এমপি মন্ত্রী অথবা সরকার হবো।
কী আর করার ভাই,
এই ভাবে আমি নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়ে তাকে একদিন বড় মন্ত্রী বানিয়েছি।
হঠাৎ আমাকে মন্ত্রী সাহেব বললেন -সরকার কে মেরে ফেলার আদেশ দিলেন কিন্তুু আমি রাজি হইনি।
তিনি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলেন।
বাধ্য হয়ে রাতের আঁধারে সরকারকে মেরে ফেলার জন্য গেলাম,
কিন্তুু গুলি ছুঁড়তেই পুলিশের নিকট ধরা পড়ে যাই।
এই জন্য আমার যাবৎ জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
কিন্তুু আমার মন্ত্রী মশাই এই কথা শুনে আমার একটি বার খোঁজখবর নিলো না।