সুন্দরী মেয়ে জমেলা
মোঃ মেহেদী হাসান
একদা পূর্ব পাকিস্তান শ্বাসন আমলে এক প্রভব শালি জমিদার বাড়ি ছিলো এবং তার কাছাকাছি ছিলো চৌকিদার বাড়ি। তাড়া দুই পক্ষ প্রভাব শালি ছিলো এবং দুই পক্ষের ক্ষমতা অনেক বেশি ছিলো। তখন কার সময় দুই পক্ষের চাকর বাকড় ছিলো অনেক বেশি। ধন সম্পদ পরিচালনা কড়ার জন্য দুই পক্ষ অনেক চাকর বাকড় রাখতেন। জমিদার বাড়িতে জমিদার মসাই এর ছিলো একটি মাত্র পুত্র সন্তান এবং চৌকিদার বাড়ির চৌকিদার মসাই এর ছিলো একটি মাত্র মেয়ে। জমিদার মসাই এর পুত্র বয়স তখন পনেরো হবে এবং চৌকিদার মসাই এর মেয়ে বয়স দশ বছর হবে।চৌকিদার মসাই এর মেয়ে সুন্দর্য, রূপবতী, হলুদে বর্ণ দেখতে একেবারে পরির মতো একদিন হঠাৎ জমিদার মসাই এর চোখ পড়লো মেয়েটির দিকে একি মেয়ে নাকি পরি। জমিদার মসাই সামনের দিকে এগুলো গিয়ে দেখে মানুষ, তার পড় নাম পরিচয় জিঙ্গাসা কররেন শুনেন চৌকিদার বাড়ির মেয়ে।জমিদার মসাই বাড়িতে এসে রাতের ঘুম হরাম হয়েগেছে এতো সুন্দর্য, রূপবতী, হলুদে বর্ণ মেয়ে হয় নাকি। জমিদার মসাই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন আমি ওই মেয়েটিকে আমার ছেলের বৌ বানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসমু। পর দিন সকাল বেলা তার চাকর বাকড় নিয়ে উঠানে আলোচনা বসলো, আমি চৌকিদার মসাই এর মেয়ে আমার ছেলের বৌ বানাবো। চাকর বাকড় এর মধ্যে এক জন শক্তি শালি এবং বুদ্ধি মতি জমিদার মসাই তাকে আদেশ দিলেন, আজ রাতে তুমি চৌকিদার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে জাবে। বুদ্ধি মান চাকর রাতের বেলা চৌকিদার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলো তখন চৌকিদার মসাই বুদ্ধি মান চাকর কে আদর আপ্যায়ন করিয়ে বললেন, আমি আমাড় মেয়েকে জমিদার মসাই এর ছেলের সাথে বিবাহ দিব না। বুদ্ধি মান চাকর জমিদার মসাই কে সব
কিছু খুলে বললেন, জমিদার মসাই হঠাৎ চেয়ার থেকে উঠে বললেন, কী আমাড় ছেলের কাছে চৌকিদার মসাই মেয়ে বিয়ে দিবে না। আচ্ছা ঠিক আছে আমি ওর মেয়ে জমেলাকে ছেলের বৌ বানিয়ে ছারবো। জমিদার মসাই এর কথা চৌকিদার মসাই শুনতে পেড়ে তার মেয়ে জমেলাকে উপারে উঠিয়ে রাখে খাদ্য দ্রব্য গোসল আধি সব কিছু উপারে বসে করান চাকরানি দিয়ে।একদিকে জমিদার মসাই তা টের পেয়ে তার চাকর বাকড় দের বললেন, আজ রাতে যেমনি পাড়িস চৌকিদার মসাই এর মেয়ে তুলে নিয়ে আসবি, কিন্তুু চৌকিদার মসাই তার চাকর বাকড় দিয়ে বাড়ির চার দিক পাহারা দিয়ে রেখেছে। জমিদার মসাই এর চাকর বাকড় কোন বুদ্ধি খুঁজে পাচ্ছে না, হঠাৎ করে বুদ্ধি মান চাকর বললেন, আমি একটি বুদ্ধি রটিয়েছি। তার পড় বাকি চাকর বাকর বললেল, কী বুদ্ধি রটিয়েছ বলো জলদি বলো।বুদ্ধি মান চাকর বললেন, আমাড়া চৌকিদার মসাই এর কুড়ে আগুন ধরিয়ে দিব, তার ফলে চৌকিদার মসাই এর চাকর বাকড় কড়ের আগুন লিবাতে জাবে এই ফাকে চৌকিদার মসাই এর মেয়ে জমেলাকে তুলেনিয়ে আসমু। জমিদার মসাই এর চাকর বাকড় তাই করলো এবং ফাকে উপর থেকে চৌকিদার মসাই এর মেয়ে জমেলাকে তুলেনিয়ে আসলো।তাই দেখে জমিদার মসাই খুশিতে আত্মহারা মহা ধুম ধমে রাতে ছেলের সংঙ্গে চৌকিদার মসাই এর মেয়ে জমেলাকে বিবাহ দেন।পরদিন চৌকিদার মসাই তার চাকর বাকড় এবং তার নিজ এলাকার মানুষ নিয়ে আসতে শুরুূ করলেন, তাই শুনে জমিদার মসাই তার চাকর বাকড় নিয়ে রওনা দিলেন দুই পক্ষের তুমুল যুদ্ধ শুরুূ হলো দোন পক্ষ একে অপের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যার যার বাড়িতে চলে আসেন। জমিদার মসাই এর বাড়ির এলাকার মানুষ চৌকিদার মসাই এর বাড়ির এলাকায় গেলে পিটায় এবং মেড়ে ফেলে এবং চৌকিদার মসাই এর বাড়ির এলাকার মানুষ জমিদার বাড়ির এলাকায় গেলে পিটায় এবং মেড়ে ফেলে।এভাবে দীর্ঘ পনেরো বছর কেটে গেলো। একদিকে জমিদার বাড়িতে চৌকিদার এর মেয়ে জমেলার দুই সন্তানের না হন। হঠাৎ একদিন জমেলা জমিদার মসাই এর চাকর বাকড় এবং চাকরানি দের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ায় বাবার বাড়িতে যেতে হলে একটি নদি পাড়ি দিতে হয় চৌকিদার মসাই এর মেয়ে জমেলা এক বৈঠার নৌকা চালিয়ে বাবার বারিতে যাব। কারন আজ অনেক বছর হলো তার মা বাবাকে নিজ চোখে দেখে না।তাই মা বাবাকে দেখার জন্য ছুটে গেল। জমেলা বাড়িতে গিয়ে দেখে তার মা তার জন্য কান্না কাটি করতে করতে প্রায় অন্ধ হয়েগেছে। জমেলা তার মাকে নিজ পরিচয় দেয়, কারন জমেলা কে ছোট বেলা জমিদার মসাই এর লোকজন তুলে নিগে গেছিলো। তার জন্য আজ অনেক বছর পড় জমেলার মা তাকে চিনতে পারে নাই।এদিকে জমিদার মসাই এর মথা নষ্ট আমাড় পুত্র বৌকে চৌকিদার মসাই তুলেনিয়ে গেছে।তাই জমিদার মসাই তার পুত্র বৌকে আনার জন্য চাকর বাকর নিয়ে রওনা দিলেন এই কথা শুনে চৌকিদার মসাই তার মেয়েকে কুড়ো ভর্তি মোড়ার মধ্যে মখ বেধে লুকিয়ে রাখে।জমিদার মসাই এর চাকর বাকর এবং এলাকায় বাশি সাড়া ঘর তালাশ করে খুঁজে পেলোনা।রাগ করে বারিতে চলে আসে এবং জমিদার মসাই এর লোক জন ফলো করে চৌকিদার মসাই তার মেয়েকে কই লুকিয়ে রাখছে।এদিকে চৌকিদার মসাই এর মেয়ে জমেলার দুটি বাচ্চা একটি তিন বছর অন্যটি মাত্র ছয় মাস বয়স মায়ের বুকের দুধ পান কড়ার জন্য ছট ফট করতে লাগছে। জমিদার মসাই এর চাকর বাকড় এর ভয়ে চৌকিদার মসাই তার মেয়ে কুড়ো ভর্তি মোড়া থেকে বেড় করেনা, কুড়ো ভর্তি মোড়ার মধ্যে চৌকিদার মসাই এর মেয়ে মুখ বান্ধা গরমে শিদ্ধ হয়ে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাই শুনে জমিদার মসাই ইস্তির থাকতে পরালেন না কারন এদিকে ছয় মাসের দুধের শিশুটি মায়ের বুকের দুধ পান কড়ার জন্য ছট ফট করছে।তাই জমিদার মসাই পুলিশের কছে গিয়ে সব কিছু খুলে বললেন, পুলিশ এসে চৌকিদার মসাই এর বাড়ির চার দিক ঘিরে ফেলে চৌকিদার মসাই সহ তার চাকর বাকড় পালানোর কোন রাস্তা খুঁজে পেলোনা। পুলিশ দুই পক্ষ একাত্র করে মিলিয়ে মিশিয়ে দিলো এবং চৌকিদার মসাই এর মেয়ে জমেলা তার স্বামীর বাড়ি তথা জমিদার বাড়ি চলে জান। তার পড় শুঁখে শান্তিতে বসোবাস শুরুূ করেন এবং পুরোবর্তী তে আরও একটি জমেলার কোল ঝুরে একটি পুত্র সান্তন হয়। তাই শুনে চৌকিদার মসাই চাকর বাকড় এবং এলাকায় বাশি নিয়ে জমিদার মসাই এর বাড়িতে উপস্তিত হন এবং ডাক ডোল পিটিয়ে দুই বেয়াই মানি জমিদার মসাই এবং চৌকিদার মসাই নাতির মাথা কামানো উৎসব পালোন করেন।