সুন্দর বন ভ্রমন
মোঃ মেহেদী হাসান
একদিন আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে আমি সুন্দর বন ভ্রমনে যাব।তাঁর পড় আমি চিন্তা করলুম, যে আমার প্রিয় দুই বন্ধু সাদিক এবং আঁকিব ওর সুন্দর বনে ভ্রমনে জাবে কী না?আমি ওদের নিকট ফোন দিলাম, ওরা দুই জনে সুন্দর বন ভ্রমন করার জন্য রাজি হলো। আমরা তিন জনে মিলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম কবে জাওয়া যায়। হঠাৎ সাদিক বললেন, বৃহস্পতিবার সুন্দর বন ভ্রমন করার জন্য রওনা দিব এবং শুক্রবার বিকালে রওনা দিব। সাদিক এর কথার সাথে আমি এবং আকিব এক মত পোশন করি।আমাদের পার শোনাল একটি জিপ গাড়ি নিয়ে সকালে সুন্দর বনের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করি।যেতে যেতে দুপুর গড়িয়ে বিকেলে হয়ে গেল।তাঁর পড় আমরা একটি থাকার জন্য হোটেলে তিন কেবিন বিসি স্ট একটি রুম ঠিক করি।জামা কাপরের ব্যাগ রেখে আমরা ঘুরতে বেড় হই।সাদিক আমাদের দুই জনের ডিয়েছেলার ক্যামেরা দিয়ে অনেক ছবি তুললেন। তাঁর পড় আমি সাদিক এর কিছু ছবি ডিয়েছেলার ক্যামেরা দিয়ে তুলে দিলাম। চলতে চলতে সুন্দর বনের অনেক ভিতরে চলে জাই। হঠাৎ একটি বানর সামনে পড়লো, আমরা তিন জনে বানর টিকে কিছু খাদ্য দিলাম। তাই দেখে গাছ থেকে অনেক বানর লাগিয়ে লাগিয়ে আমাদের সামনে পড়লো। কোন বানর বৃদ্ধ কোন বানর যুবক এবং ছোট বানর আছে। ওদের সাথে দুষ্টমি করতে লাগলাম অনেক ছবি তুললাম। তাঁর পড় বেলা তলিয়ে গেল। আমরা তিন জনে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।আমি এবং সাদিক দুই জনে আগে আগে হাটতে থাকি, কিন্তুু আঁকিব আস্তে আস্তে হাটতে থাকে। বাসার আসতে আসতে রাত হয়ে গেল। চার দিক অন্ধকার আমাদের নিকট লাইট নেই, কিন্তুু মোবাইল এর লাইট দিয়ে চলতে শুরু করি। হঠাৎ আঁকিব এর সামনে একটি হনুমান পড়ল এবং আঁকিব চিৎকার করে উঠলো। আমি এবং সাদিক পিছনে ফিরে দেখি আঁকিব এর সামনে একটি হনুমান আক্রামন করছে। এখন কী করে আঁকিব কে হনুমান এর নিকট থাকে রক্ষা করব, চিন্তায় পড়ে গেলাম ও-ই হনুমান টি তো আঁকিব কে মেরে ফেলবে। তাঁর পড় আমার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো, আমি আঁকিব কে বললাম, আঁকিব তুই দ্রুত মাটিতে শুয়ে পড়। তাঁর পর নাক ও মুখ দিয়ে শাস নেওয়া বন্ধ করে দেয়, তাঁর পড় দেখতে পাবি হনুমান টি তোকে মৃত লাস ভেবে চলে জাবে। আঁকিব দ্রুত শুয়ে পড়লো এবং নাক এবং মুখ দিয়ে শাস নেওয়া বন্ধ করে দিল।হনুমানটি আঁকিব এর নাক এবং মুখ এর নিকট তাকিয়ে কান পেতে দেখল শাস করছে না। তাই হনুমান টি আঁকিব কে মৃত লাস ভেবে চলে গেল। জাক বাবা বাঁচা গেল। আঁকিব দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে বললেন, তোমার বুদ্ধির করলেন আজ আমার প্রান বেঁচে গেল নয়তো আজ আমি ওই হনু মানের হাতে মৃত্যু হতো। আমরা বাসায় এসে পরলাম, বাসায় এসে কিছু নাস্তা করলাম এবং তিন জনে মিলে একটি হিন্দি ছবি দেখতে শুরু করি। ছবিটি শেষ হতে না হতে বিদ্যুৎ চলে গেল। তাঁর পড় একটি মোম বাতি জালিয়ে নেই। হঠাৎ সাদিক বললেন, আমার পেটে খুদা লেগেছে। চল আমরা ভাত খেয়ে নেই। আমি বললাম, ঠিক আছে চল ভাত খেয়ে নেই। ভাত খাওয়া শেষ করলুম। এদিকে বিদ্যুৎ আসছে না তাই মোবাইল ফোন দিয়ে লুডু খেলতে শুরু করি। লুডু খেলা বন্ধ করে দিয়ে আমি একটি জানালা খুললাম দেখতে পেলাম আকাশে অনেক তাঁরা ঝলমল করছে। আমি ওদের দেখার জন্য ডাক দিলাম, ওরা তারকা দেখার জন্য চলে আসে। হঠাৎ দেখতে পেলাম পূর্ব আকাশে মেঘ করে আসছে তাঁর পড় ভারি বৃষ্টি হওয়ায় শুরু করে। আমরা তিন জনে ঘুমিয়ে পড়ি রাতে ঘুমের মধ্যে আঁকিব চিৎকার করে বললেন, হনুমান আমাকে মেরে ফেলবে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাকে। আমি এবং সাদিক ঘুম থেকে উঠে দেখি আঁকিব সপ্নের মধ্যে হনুমান দেখে চিৎকার করছে।তাঁর পড় আমি এবং সাদিক ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের আজান দিল আমরা ঘুম থেকে উঠে দ্রুত হয়ে ফেরেস হয়ে ফজরের নামাজ আদায় করি,কিছু খুন পড় হালকা নাস্তা করে ভ্রমনে বেড় হলাম। সুন্দর বনের পাশে একটি বড় মার্কেট থেকে কিছু পন্য দ্রব্য ক্রয় করলুম। সেই গুলো সাদিক বাসায় রাখার জন্য চলে গেল। তাঁর পড় সাদিক পন্য দ্রব্য বাসায় রাখার পড় আমরা তিন জনে সিদ্ধান্ত নিলাম কালকে যেখানে ভ্রমনে গেছিলাম সেই দিকে জাব না।এখন অন্য কোন জায়গায় জাব। তিন জনে ভ্রমনে চলে গেলাম আমাদের মোবাইল ফোন দিয়ে সুন্দর বনের অনেক গাছ পালা এবং পশু পাখির ছবি তুলতে থাকি। হঠাৎ দূরে দেখতে পেলাম এক দল হরিণ। আমারা তিন জনে দ্রুত হরিণের দিকে চলে জাই এবং গিয়ে হরিণের সাথে অনেক ছবি তুলতে থাকি। হঠাৎ বন থেকে কিছু লোক বেড় হইলো এবং আমদের বললেন, তোমাদের যা কিছু আছে বেড় করে আমাদের দিয়ে দাও।সাদিক বললেন, তোমরা কে? কী তোমার পরিচয়? আমরা কেন আমাদের নিকট যে পন্য দ্রব্য আছে তা দিয়ে দেব।লোক গুলো বললেন, আমরা ডাকাত। তোমাদের যা কিছু আছে আমাদের দিয়ে দাও। নাইলে তোমাদের মেরে ফেলব, কিন্তুু সাদিক বললেন, আমি দিব না।তাই বলামাত্র ডাকাতদের মধ্যে একটি লোক সাদিক এর তল পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় সাদিক জাগায় ছটফট করে মা-রা যায় এবং আমাদের নিকট থাকে সব কিছু ডাকাত কেড়ে নিয়ে যায়। তাঁর পড় আমি এবং আঁকিব সাদিকের লাস নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে বললেন, তোমারা ওকে খুন করেছ। আমি এবং আঁকিব বললাম, না ছাড়। তারা আমাদের দুই জনকে থানায় নিয়ে যায়। থানার দারোগা কে সব কিছু খুলে বললাম। তাঁর লগের সঙ্গী নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তাঁরা সুন্দর বনের ভিতর গিয়ে ডাকাত দলকে জিজ্ঞেস করলেন, তারা সব কিছু শিকার করে নিলেন এবং দারোগা সাহেব সত্যর সন্ধান পেয়ে আমাদের ছেড়ে দিলেন। আমি এবং আঁকিব সাদিক এর লাস নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।সাদিক এর মা ও বাবা লাস দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলো। তাঁর পড় আমি মনে মনে বললাম , আজ আমার কারণে সাদিক এর এ-ই পরিনিত হলো, আজ থেকে আমি ওর মা ও বাবা নিকট অপরাধী হয়ে গেলাম।