ছাগল ছানা।
লেখকঃ মোঃ মেহেদী হাসান
একটা একদিন আমার পাশের বাসার খতেক জান চাঁচির একটি সখের ছাগলের প্রশাব বেথা উঠলো। তখন কার সময় আমি ঘটখালী সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ি।আমার ইস্কুল সকাল ৯.৩০ মিনিট এর সময় শুরু হয় এবং দুপুর ১.৩০ মিনিট এর সময় ছুটি হয়।ইস্কুল ছুটি হওয়ার পড় আমি দ্রুত বাড়িতে চলে আসি।ইস্কুল ডেরেচ পাল্টিয়ে আমি বিস্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার মা আমাকে বলেন, তোর ওই বাড়ির খতেকজান চাঁচির ছাগলের বাচ্চা হবে। তাই শুনে আমি দ্রুত খতেক জান চাঁচির বাড়িতে চলে জাই। গিয়ে দেখি এখনও ছাগলের বাচ্চা জন্ম গ্রহন করে নাই।প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করলাম তার পড় দেখি একটি ছাগলের বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। খতেক জান চাঁচি ওই ছাগল ছানাটিকে সুকনা তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দিলেন এবং হাত দিয়ে মুখের ও নাকের ময়লা পরিস্কার করেন। আমি ছাগলের বাচ্চাটাকে নিয়ে অনেক দুষ্টমি করতে লাগলাম। তার পড় খতেক জান চাঁচি গোসল করার জন্য পুকুরে চলে জান।পুকুরে তিনি নামবে এই মূহুর্তে আমি খতেক জান চাঁচিকে বলাম,যে আপনি গোসল করতে নামবেন না।আপনার ছাগলের দ্বিতীয় বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। খতেক জান চাঁচি দ্রুত ছাগলের নিকট চলে আসেন। ছাগল ছানাটিকে তিনি তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দিলেন এবং হাত দিয়ে মুখের ও নাকের ময়লা পরিস্কার করেন। তার পড় তিনি গোসল করার জন্য পুকুরে চলে জান। আমি ছাগলের দুটি বাচ্চা নিয়ে দুষ্টুমি করতে থাকী।হঠাৎ আমি দেখলাম ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। আমি খতেক জান চাঁচিকে বলাম, যে আপনি পানিতে ডুপ দিবেনা। আপনার ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। তাই শুনে খতেক জান চাঁচি দ্রুত চলে আসেন। তার পড় তিনি ছাগল ছানাটিকে তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দিলেন এবং হাত দিয়ে মুখের ও নাকের ময়লা পরিস্কার করেন। আমি ছাগলের তিনটি বাচ্চা নিয়ে দুষ্টুমি করতে থাকী। তার কিছু খুন পর দেখতে পাই ছাগলের চতুর্থ নাম্বার বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। আমি খতেক জান চাঁচিকে বলাম চাঁচি হাত ও পা সবান দিয়ে আর পরিস্কার করা লাগবে না।আপনার ছাগলের চতুর্থ নাম্বার বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। তিনি আমার কথা বিস্বাস করলেন না।তিনি বলেন দেশি ছাগলের চারটি বাচ্চা হয় না। আমি জোর গলায় বলাম যে আপনার ছাগলের চতুর্থ নাম্বার বাচ্চা জন্ম গ্রহন করছে। তাই শুনে তিনি দ্রুত ছাগলের নিকট চলে আসেন এবং তিনি চতুর্থ নাম্বার ছাগলের বাচ্চা দেখে অভাক হয়ে জান। তার পড় খতেক জান চাঁচি ছাগল ছানাটিকে তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দিলেন এবং হাত দিয়ে মুখের ও নাকের ময়লা পরিস্কার করেন।
তার পড় আমি চারটি বাচ্চা নিয়ে মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে জাই।ছাগলকে ঘাস খাওয়ানো শেষ করে খতেক জান চাঁচির বাড়িতে দিয়ে আসি।এ ভাবে আমি অনেক দিন ছাগল গুলোকে অনেক দিন ঘাস খাওয়ানোর পড় ছাগল ছানা বড় হয়ে যায়। তার কিছু দিন পড় খতেক জান চাঁচির বড় মেয়ে বেড়াতে আসেন।তিনি ছাগলের চারটি বাচ্চা দেখে খুবি খুশি হন এবং তিনি শশুর বাড়িতে জাওয়ার সময় চারটি ছাগল ছানা সহ বৃদ্ধা ছাগলটিও নিয়ে জায়।এদিকে আমি ইস্কুল ছুটি হওয়ার পড় বাড়িতে চলে আসি। তার পড় শুনতে পাই যে আমার লালন পালন করা ছাগল গুলো খতেক জান চাঁচির বড় মেয়ে নিয়ে গেছেন। তাই শুনে আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি।
গরিবের প্রর্তি ভালো বাসা
লেখকঃমোঃমেহেদী হাসান
আমি মিথিলা। আমি দশম শ্রেনিতে পড়া শুনা করি। প্রর্তি দিন প্রায় দশটা প্রর্যন্ত পড়াশুনা করে ঘুমাতে জাই।আমার গ্রামের প্রর্তেকটি মানুষের সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব। ছোট বেলা থেকেই আমি সকল ধরনের মানুষের সাথে মিলে মিশে চলা ফেরা করার অভিজ্ঞতা। আমি দেখতে খুবই সুন্দরী। লম্বা ৫ ফুট ৪ইঞ্চি।আমার বিয়ের জন্য অনেক ধনী পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তুু আমি বিয়ে করতে রাজি হই না।আমার মা ও বাবা পরিবারের অন্য অন্য সদস্য গন আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য দিশেহারা। আমি এস এসি পাশ করলাম এবং ভালো কলেজে ভর্তি হইলাম। ক্লাসের সকল ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক হয়।কলেজ এ-র অনেক বড় ভাই এবং আমার ক্লাসে পড়ুয়া ছাত্র গান আমাকে প্রেম ভালো বাসার প্রস্তাব দেয়, কিন্তুু আমি রাজি হই নাই। একদিন আমার ক্লাসে একজন ছাত্র আসলো দেখতে খুবই সুন্দর তাঁর না নাকি আব্দুর রহমান। কথা বর্তা খুবই মিষ্টি, কিন্তুু তাঁর পড়নে চেরা জামা ও পায়জামা। ক্লাসের সকল ছাত্র ছাত্রী তাঁর পোশাক দেখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে। ছেলেটি মাথা নত করে ক্লাসের এক কোনে বসে পড়ল।হঠাৎ ছাড় আসলেন এবং সবার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন। ছাড় ক্লাস শেষ হওয়ার আগে সকল ছাত্র ছাত্রী কে উক্তি করে একটি প্রশ্ন করলেন, সবাই ছাড়ের প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনল কিন্তুু কেউ উত্তর দিতে পারলো না।হঠাৎ আব্দুর রহমান সেই প্রশ্নের উওর দিলেন সবাই চমকে গেল। পড়ের দিন থেকে আব্দুর রহমান সকল শিক্ষক এ-র ক্লাসে দেওয়া পাঠদান নিয়মিত দিতে পারে। কিন্তুু আব্দুর রহমান প্রর্তিদিন সেই একটি জামা ও পায়জামা পড়ে ক্লাসে আসে তাঁর জন্য কোন ছেলে মেয়ে তাঁর সাথে মিশে না।একদিন আমি আব্দর রহমান কে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার বাসায় কে কে আছেন, আব্দুর রহমান কান্না করে বলেন, আমার বাবা আমাকে ছোট রেখে মা-রা গেছেন। তাঁর পড় আমার মা অন্য একটি লোকের সঙ্গে বিবাহ বসে। কিন্তুু সে আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না, মাঝে মাঝে আমি দূর থেকে আমার মাকে দেখতে জাই।বর্তমানে আমি একটি বস্তিতে থাকি।সেখানে অনেক মানুষ আমাকে ভালো বাসে।তারা আমাকে ছোট বেলা থেকে খাবার দাবার খাইয়ে বড় করেন। এখন আমি মাঝে মাঝে কিছু কাজ কর্ম করে টাকা পয়সা উপর্যন করি।তাই দিয়ে আমি পড়া শুনার খরচ চালাই।মানুষের দেওয়া পুরোনো গাইড বই দিয়ে আমি পড়া শুনা করি। ছোট বেলা থেকে আমার পড়া শুনা করার ইচ্ছা। তাই শুনে আমার চোখে পানি এসে গেল। আমি বলাম আমাকে তোমার বস্তিতে নিয়ে জাবে।আব্দুর রহমান বলেন, কি বলছেন এসব। আপনি বড় লোকের মেয়ে আপনি আমার সাথে নোংরা বস্তিতে ঘুরতে জাবেন।আমি বললাম, হ্যাঁ জাব তুমি আমাকে নিয়ে জাবে। আব্দুর রহমান কিছু তেই রাজি হচ্ছে না। তাঁর পড় আমি খুব কষ্ট করে রাজি করালাম। একদিন ওর সাথে আমি বস্তিতে চলে জাই গিয়ে দেখি। সামান্য একটি রুম তাঁর চার দিকে নারিকেল পাতার বেড়া উপরে ছাউনিতে কিছু টিন এবং নারা দিয়ে ছাওয়া। রুম টির ভিতরে একটি ভাঙ্গা চকি আর পাশে একটি ভাঙ্গা টেবিল আব্দুর রহমান বলেন, আমি এখনে থাকি।আমি যে এখন আপনাকে কোথায় বসতে দেই।এ-ই বলে আব্দর রহমান পাশের একটি বাসা থেকে একটি চেয়ার নিয়ে আসলেন এবং আমাকে বসতে বলেন। বস্তির সকল মানুষ শুনতে পেল আব্দুর রহমান এ-র বাসায় একজন বড় লোকের মেয়ে এসেছে। তাই শুনে সবাই দৌড়ে আসেন আমাকে দেখার জন্য, তাদের সাথে কথা বর্তা শুনে আনন্দ উপভোগ করি। তাঁর কিছু দিন পড় আমি আব্দুর রহমানকে বললাম, আব্দুর রহমান তুমি আমাকে বিয়ে করবে।আমার কথা শুনে আব্দুর রহমান চমকে গেল এবং বলেন আপনি বড় লোকের মেয়ে আমি একজন গরীব ঘরের ছেলে। আপনার মা বাবা এবং পরিবারের অন্য অন্য মানুষ তা মেনে নিবে না।আমি আব্দুর রহমানকে বললাম, তুমি চিন্তা করোনা আমার জমানো অনেক টাকা পয়সা আছে। তা দিয়ে এ-ই বস্তিতে একটি ঘর তুলে তুমি আর আমি সংসার করবো। কিন্তুু আব্দুর রহমান রাজি হচ্ছে না, কারণ তাঁর খুব ভয় বড় লোকের মেয়ে তাকে বিয়ে করলে যদি তাঁর পরিবারের সদস্য গন আমাক মেরে ফেলে। বস্তির সকল মানুষ আব্দুর রহমান এ-র সঙ্গে যোগ দিলেন এবং বলেন, আব্দুর রহমান ঠিক কথা বলেছেন।বস্তি পরিচালনা করার একজন মোরোল আছে, তিনি হঠাৎ বলেন, এ-ই বিয়ে তুমি করতে পারবে যদি তুমি ইস্টামে সাক্ষর দিয়ে বিবাহ বসতে পার। কারণ কিছু দিন পড় তুমি আব্দুর রহমান এ-র সঙ্গে সংসার করে চলে জাবে তা হবে না। আমি রাজি হলাম বিবাহ সম্পন্ন হলো, বস্তির সকল যুবক যুবতী গান নাচ ও গান শুরু করে দিল।তাঁর পড় আমার জমানো টাকা পয়সা দিয়ে বস্তিতে একটি ঘর নির্মন করি।আমার একজন আন্তীয় ছিল বোরহান উদ্দিন বড় উচ্চ পদে চাকরি করেন। আমি তাকে সব কিছু খুলে বললাম। তাঁর পড় আমি বললাম, আমার স্বামী আব্দুর রহমানকে একটি চাকুরি দিতে পারেন। তিনি আমার স্বামী আব্দুর রহমানকে কোম্পানিতে চাকুরি দিলেন। আমি আমার স্বামী আব্দুর রহমানকে নিয়ে শুখে শান্তিতে বসবাস শুরু করি। এদিকে আমার মা ও বাবা পরিবারের অন্য অন্য সদস্য গন আমাকে খুজতে থেকে। একদিন তারা আমার সন্ধান পেলেন যে আমি বস্তিতে থাকি। তারা আমার বাসায় আসলেন আমি আমার বাবার পা জড়াইয়া ধরে সকল ঘটনা খুলে বলি।তাই শুনে আমার মা বাবা ও পরিবারের সকল সদস্য গন অত্যন্ত খুশি হলেন এবং তারা বলেন, তোর সততার ও আদার্শ তার কাছে আমরা সবাই হারমেনে গেলাম তুই একটি গরীব ছেলেকে বিবাহ করে চাকুরি দিয়ে যর উঠিয়ে দিয়ে। তাঁর সাথে শুঁকে শান্তিতে বসবাস করতে আছ। তোর মতো এত বড় মনের মেয়ে যেন বাংলার প্রর্তি টা ঘরে ঘরে জন্ম গ্রহন করে (আমিন)