বাংলা মায়ের সবুজ শাড়ি রক্ত দিয়ে কেনা,
রক্ত মাখা এই শাড়িটা সবার চিরচেনা।
এই শাড়িটার জন্য কেবল মুক্তিযুদ্ধ করা,
এই স্মৃতিপট গর্ব জাগায় বংশ পরম্পরা।
পাক-হানাদার হামলে পড়ে নৃশংস এক রণে,
শিউরে ওঠা সেই কালোরাত কাঁপন জাগায় মনে।
মায়ের আঁচল খামছে ধরে দুষ্ট শকুন সেনা,
বারুদ গন্ধে সুবাস হারায় স্নিগ্ধ হাসনাহেনা।
ঘুমন্ত এক বিদ্রোহ ঠিক উসকে দিলো মনে,
বিজয়টা ঠিক পাওনা ছিলো একাত্তরের ক্ষণে।
মহাকালের দামাল কবি’র বিদ্রোহী এক ডাকে,
যার যা ছিলো আসলো ছুটে জয় বাংলা হাঁকে।
বিশ্ব জানে— শোকের শক্তি নামে আকাশ ফেটে,
স্বাধীনতার দীপ্ত রবি ওঠলো আঁধার কেটে।
বুকের তাজা রক্তে ভেজা আমার মায়ের শাড়ি,
রাতের গায়ে হুল ফুটিয়ে সকাল আনতে পারি।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে একটা শাড়ি— দেখো,
বীরের জাতি এই খ্যাতিটা সবাই মনে রেখো।
ছোট্ট খুকি ভাই হারালো মা হারালো খোকা,
মায়ের শাড়ি যত্নে রেখো- পাই না যেন ধোঁকা।