ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের অভিশপ্তপুকুরে
ডুবে মরা ছাত্রদের স্মরণে।
অনেকদিন পরে সেই পুকুর পাড়ে
যেখানে ছাত্রদের মৃতদেহ ভেসে ওঠে মধ্য পুকুরে
কি কারনে সেখানে মৃত্যু হতো?
তা এখনো অজানা রূপকথার গল্পের মত।
কিছুটা ভৌতিক গল্পের আকুতি,
পুকুর পাড়ে নারিকেল গাছ গুলো যেন মৃত্যুদের স্মৃতি।
নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড ঘাটের পাশেই টানানো আছে,
২৭ জন ছাত্রের মৃত্যু, শোকাবহ গল্প সবার কাছে।
শুনেছি সাঁতার জানার পরেওডুবেছে,সব কিছুই অজানা
রাসায়নিক বিক্রিয়া,এলিয়েন,না বদজিনদের আনাগোনা
মৃগী রোগীদের মত হৃদস্পন্দন কেন বন্ধ হয়ে যায়,?
বিদ্যুৎ স্পর্শে মৃত্যুদের মত, শরীর নির্জীব মনে হয়।
এখনো অন্ধকারে অন্তঃকরণ ভয়ে গোংড়ায়. নিশীথ রাতে
মৃত্যুরা যেন ডাকছে পুকুরের পাড়ে,রাতের কুয়াশাতে,
বড় ভয় লাগে শহীদুল্লাহ হলের অভিশপ্ত পুকুর ঘাট,
আর কত ছাত্রের জীবন যাবে, অপেক্ষায় থাকবে মৃত্যু খাট।
এই পুকুর পাড়ে এখনো রাতে গেলে ভয়ে কাঁপে গলা,
মনে হয় মাথার উপর ভারী বোঝা নিয়ে ভীতু মনে চলা।
এক অদৃশ্য ভয়, হয়তো মনের ভুল সব,
এসব মৃত্যু কেন হয়? ভৌতিক গল্পের মতই আজব।
তবু অজানা মানুষ ভয় হীন ভাবে নেমে যাবে,
পুকুরের টলটলে স্বচ্ছ পানিতে সাঁতরাতে চাবে।
এখনো বয়জৈষ্ঠ পাখিরা নির্ভয়ে বারবার হাসে,
কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদের ভুলে গেছে, নেই পরিবারের পাশে।