তোমার গুল্ম লতা ছড়িয়েছে মাঠ-প্রান্তর,হে প্রাজ্ঞ দৃষ্টি,
আত্নীয়ের প্রতি পরম মমতা ছিল আশার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।
ঘন দুর্যোগে চলে গেলে যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজ,
তোমার মতো একজন সামাজিক কর্মীর প্রয়োজন ছিল আজ।
বেকারদের স্মরমে, আশার জ্যোৎস্না নির্ভিক,নির্ভয়,
কর্মসংস্থান সৃষ্টি,নীল আকাশে উড়ন্ত পাখি দেখা নয়।
তোমার দয়ালু হৃদয় জেগে উঠেছিল আউশের ধানের মতো,
অভাবের ছিদ্রে ছিদ্রে অশুভ শব্দের ডাক,ভীর করিয়াছে যত।
কত গ্লানি,কত বিহ্বলতার মধ্য দিয়ে তোমার উঠে আশা,
তুমি যেন সেই দূরন্ত কিশোর,ভেলায় পাড়ি দেয়া কীর্তিনাশা।
অন্ধকারে রাত জাগা নক্ষত্রের মতো জেগে ছিল আঁখি,
জোনাকির আলোতে পথচলা অতিথি,রাতের লক্ষি পাখি।
ঘুমের পেরেশানি ভুলে কাজ করেছ কল্যানের অভিপ্রায়,
হায়!রফিক উদ্দিন আহমেদ পান্না, অনেক ঊর্ধ্বে তোমার পরিচয়।
বহু স্কুল,কলেজ গড়েছো নিজ হাতে,হে শিক্ষানুরাগী,
নিরহংকার মানুষ ছিলে সবুজ ঘাসের শহর রাজবাড়ী।
হিজলের পাতা ঝুলছে সেখানে,কি সুন্দর গ্রাম!
সব আশা যেন কবরে, শ্রদ্ধা অবিরাম।
তুমি কলিমোহর ,পাংশার,অনন্ত নদীর জল চন্দনা,
সে এক বহতা নদী,তোমার জীবনের মতই নন্দ।
তুমি স্নেহের নাতি ছিলে ওসমান খান সাহেবের,
গম্বুজের মসজিদ ছিল নানা বাড়ি,মামাদের ছিলে আদরের।
রওশন জামাল খান তুমি থাকিলে শোকের গোধুলি নামিত,
হয়ত কালো মেঘ নিংড়ায়ে ইতিহাসের শোকাবহ বৃষ্টি আসিত
হায় D.D.C এর প্রতিষ্ঠাতা, নির্জন শহরে ফুটিয়েছ সূর্যমুখী,
পিড়ীতের মুখে হাসি ফোটাতে,মানুষের বেদনায় হতে দুঃখী।
যুগ যুগ পরে হয়তো আসিবে বংশে, যোগ্য উত্তরাধীকার,
দায়িত্ব পালনে ছিলে ভীষণ দরদী,ঢেড় কৃতি শৃংখলার।
দেশের সম্পদ ছিলে, এমনকি পরিস্ফুটিত রোদের ভিতর,
তোমার মৃত্যু সংগীতেও বেদনার ছাপ পরেছে স্মৃতিতে কাতর।
তোমার অনুপস্থিতি হঠাৎ যেন নক্ষত্রের নিস্তেজ শিখা,
শতাব্দীর প্রেরণার উৎস পেখম ছড়ানো ময়ুরের কেকা।
তোমার প্রতিভার গুন শত বছর পরেও থাকবে কেয়া বনে,
কে জানিতো এত দ্রুত পৌছাবে কবরের শৃংখলিত জীবনে।
তোমার কৃতি রঙিন প্রজাপতিরা উড়ে উড়ে বলবে,
চোখেতে সাদা মেঘ ভাসতো অর্থনৈতিক বিপ্লব কবে আসবে?
অগনন দিনও যদি গল্প বলি তবু তোমার গল্প শেষ হবার নয়,
তুমি পাহাড়ের বনফুলের মতো,ছিলে অদম্য সামাজিকতায়।