তোমার স্মৃতি মনে হয় অফুরান,নদীর অগনন ঢেউ যত,
নুড়ি পাথরগুলো তখন আনন্দে নাচে, তাজবী দানার মত।
বারবার আছড়ে পড়ে যখনস্মৃতির ঢেউ,হৃদয়ে আসে স্বস্তি...
মনে হয় ঢেউয়ের উপর দোল খাচ্ছে পালতোলা দাড়ের কিস্তি
মানুষের জন্য তোমার মমতা ছিল,ছিল দরিয়ার মত দিল,
ভূমধ্য সাগরের মতই লোহিত সাগরের পানি যেমন নীল।
মিনায় হারিয়ে যেয়েও গায়েবি সাহায্যে ফিরে এলে মক্কায়
বলতে কাবার কালো পাথর তাজিমের বিষয়,পূজার বিষয় নয়।
শাহ্ হাফিজা ইসলাম,তুমি আমাদের কাছে পাতার মর্মর ছন্দ,
তুমি সূর্যরশ্মির মতোই, প্রতিদিনই আছড়ে পড়তে মৃদু মন্দ।
রাতের শিশির ফোটা যখন ঝরে ঝরে পরে, গাছের উপর
মনে হয় পাতা থেকে ঝরছে শোক,আঁখিজল হয়ে পৃথিবীর পর।
মানুষের মমতার চাদরে মোড়ানো, তোমার অব্যক্ত স্মৃতি
তোমার নামে গড়ে ওঠা ধর্মীয় পাঠাগার যেন জ্ঞানের দীপ্তি।
মেঠো পথ,পুকুর পাড়,স্বামীর ভিটা,শোকে ম্রিয়মাণ সাদিপুর,
এখনো কাঁদে বাঁশবাগান,প্রতিটি বাড়ি,হায়!জন্মভূমি ব্যাসপুর
ভর্তা মাখানো ভাত, মুখে তুলে দিতে যেন মমতার সামিয়ানা,
কখনো তুমি, তোমার দুয়ার থেকে কাউকে তাড়িয়ে দিতে না
গাছে ঠাসা ফলের হাসি,তুমি ধূসর চুলের বিজ্ঞ অভিভাবক।
আহা!জনম জনম মনে থাকবে তোমার বলে যাওয়া শোলক,
সেই সোনামুখ রেখে এলাম রায়েরবাজার বদ্ধভূমি গোরস্থানে,
হায়!গোপালগঞ্জের পদ্মফুল,শোক নেমেছে তোমার প্রস্থানে।
আজও তোমার কন্ঠে আমরা মানবতার গান শুনি,
আহা!শিশুরা তোমাকে জড়িয়ে ধরিত,দিত হর্ষধ্বনি!