অসহ্য ভ্যাপসা গরমের পর প্রশান্তির বাতাস ভেসে যায়,
কোথাও কোথাও মেঘ থেকে ঝরে বৃষ্টি কাঙ্খিত আশায়
গতকালও এ সময় বেশ বিরক্তি লেগেছিল প্রকৃতিতে,
ক্ষেতের পাকা ফসলের মতো ডুব ছিল আশা,নিরাশাতে।
রোদ্রের ভিতর জীবনের উদ্দেশ্য অন্বেষণে মানুষের স্রোত,
জ্বলন্ত আগুনের মতো প্রতিদিন বাড়ছে মানুষের ক্রোধ।
মানুষ এখন বাক স্বাধীনতা চায়, চায় খাদ্যর নিরাপত্তা,
মৃত্যুর হিম পরিবেশের মধ্যও চায় একটু স্বাভাবিক উষ্ণতা।
মানুষের এখন রাতের নক্ষত্রের আলো দেখার সময় নেই,
মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা,চটকদার স্লোগান যতই শোনাই
সবকিছুই অনুভবহীন,স্বাদহীন, এমন কি রাজনীতি নিয়ে
অভিমানে শুয়ে আছে জনগণ,অন্ধকার অবক্ষয়ের সময়ে।
কুড়ি বছর আগেও ভাবিনি এমন সময় একদিন আসিবে,
এইসব নেতৃত্ব জনগণের সম্মুখে অবলীলায় মিথ্যা বলিবে।
ভোটেবাধা দিলে হারাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার অধিকার
অহেতুক তুলতুলে পুলক অনুভব, ভাবছে কাটবে অন্ধকার।
রাজনীতির বক্রসিঁড়ির প্রতিটি ধাপ পার হতে ক্লান্ত হতে হয়,
শতাব্দী কেটে গেলেও আদর্শচূতো না হওয়া বিরাট বিস্ময়।
অভিজ্ঞতায় বলছি, আবারো পুরানো বুটের শব্দ শোনা যায়,
স্বস্তি আসিবে কবে? না খড়কুটো হয়ে পিসিবে পায়।
আমাদের দুই দিকে দুই বুর্জোয়ার লাগামহীন স্লোগান,
অর্ধশতাব্দী জুড়ে শুনে আসছি জনগণের জয়গান।
কবে নিষ্কৃতি পাবে পাখিদের ক্লান্ত চোখ?
ছানাগুলোর কাছে যদি নির্ভয়ে ফিরিত মা পাখির পালক।