রিযিকের চিন্তা যেন না পায়,
পাখিরাও ধান খুটে খায়।
এমন প্রাণীও আছে শুধু আলো খেয়ে আছে,
কেউ কেউ শুধু জল আবার কেউ বাতাস খেয়েও বাঁচে।
মাঠে-ঘাটে ছড়ানো কত শস্য,
পাখিদের পেট ভরে, তৃপ্তির অনুপম দৃশ্য।
ঠোঁটে থাকে শুকরিয়া উড়ে যায় শূন্যে,
থাকেনি উপোস সন্ধ্যায় ফিরেছে নীড়ে পেট পূণ্য।
পাখিরাও উষ্ণতার প্রত্যাশায় সূর্য স্নান করে,
দিন শেষে ফিরে আসে মৌনতার আধারে।
সে এক প্রশান্তির বাড়ি, ভীষণ ভালোবাসে,
প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় সেও বানিয়েছে ঘর মুচকি হাসে।
বর্ষার নদীর মতো রাহু, সব সময়ে পাড় ভাঙ্গা অস্থিরতা
মানুষের পায়ে মানুষ পৃষ্ট ঢেউয়ের ফেনার মতো বিহ্বলতা।
দুর্ভাগা মানুষেরই শুধু রিযিকের পেরেশানিই যায় না,
পাখিরা কখনো পাখিদের আকাঙ্ক্ষার বাঁধ ভাঙ্গে না।
পাখিদের মত মানুষ যদি ভাবতো,
প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশা যদি না থাকতো।
অন্যায়ের প্রতিবাদে পাখিরাও গেয়ে উঠে স্বাধীন সঙ্গীত,
পাখিরাও জানে বেবাক ভূগোল, মানচিত্রের জটিল গণিত।