একটি উজ্জ্বল আয়াতের কথা বলছি,
যা গ্রহ-নক্ষত্রের মতোই সত্য।
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানার মতই সত্য,
কেয়ামতের পূর্বে প্রতিটি শহর জনপদ ধ্বংসের কথা বলছি।
পৃথিবী তখন অন্ধকার গহ্বরে ঢেকে যাবে,
বায়ুমন্ডলে তখন অক্সিজেন শূন্যতা আসবে।
পারমাণবিক বজ্রের উদ্ভাসনের ইঙ্গিত শুনছি,
পৃথিবী অগ্নিগর্ভ হবে তবুও নালায়েকএর মত স্বপ্ন বুনছি।
তখন মহাকাশেও দুঃখ স্পর্শ করবে,
তখন নিঃসঙ্গ মৃত্তিকা অনেকটা মানব শূন্য হবে।
তখন মৃত্যু বার্তার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হবে প্রতিটি পরিবার,
গৃহকোণে, গ্রাম গঞ্জ হাটে, বন্দরে অথবা যুদ্ধের বাংকার।
সব ঋতু হারিয়ে যেয়ে চারদিকে থাকবে শুধু হিম নিরুপায়,
সূর্য ঢেকে যাবে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়ায়।
শস্যর সৌকর্য শেষবারের মতো এবার অবলোকন করা যায়,
খাক হওয়া কলসির মত দেখবে এ পৃথিবী অসম্ভব নির্দয়।
হে প্রগাঢ় হিতৈষী,
একবার যুদ্ধ শুরু হলে পারমাণবিক ঝড় শুরু হবে।
তখন আপনি আপনার জাতিসংঘ এমনি এমনিই বিলুপ্ত হবে,
তখন যুদ্ধ বন্ধের নসিহত করে কি লাভ হবে হে শ্রীধাম ঋষি?
যদিও যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় স্বল্প,
যদিও আপস-মীমাংসার সম্ভাবনা অল্প।
তবু এখানে প্রতিনিয়ত প্রতিহিংসার বিষ ঢেলে দেয় অনবরত,
এবারই প্রথম কবিতা লিখতে যেয়ে বৃষ্টিবিহীন শ্রাবণ হল গত।
আমাদের পাপ, সীমাহীন অবিচার, রুঢ় রোগে আচ্ছন্ন,
আমাদের অভিজ্ঞতা বলে আমাদের ধ্বংস আসন্ন।
আমাদের পৃথিবী আমাদের হাতেই ধ্বংস হবে জানি,
সব হিংসার কবর হবে,শেষ হবে সীমাহীন পেরেসানি।
আমাদের এ কবিতা যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলছে,
আমাদের এ কবিতা খাদ্য ও পানিয়ের মজুদের কথা বলছে।
আমাদের এই কবিতা মানবজাতির বাচার কথা বলছে,
আমাদের এই কবিতা ইতিহাসের অভিজ্ঞতার কথা বলছে।
অভিজ্ঞরা নিরাশ হয়ে নিশ্চিত মনে এলায়ে দিয়েছে শরীর,
ধর্মযাজকেরা প্রতিটি শোলকের প্রতি ছুড়ছে তর্কের তীর।
মানুষের হাতেই মানবসভ্যতা,গড়ে উঠেছিল সপ্নের নীড়,
মানুষের অভিশাপেই চোখের সামনে ঝরছে অন্তিম শিশির।
আমি শেষবারের মতো একটি উজ্জ্বল আয়াতের কথা বলছি,
যা গ্রহ-নক্ষত্রের মতোই সত্য।
কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানার মতই সত্য,
কেয়ামতের পূর্বে প্রতিটি শহর জনপদ ধ্বংসের কথা বলছি।