তুমি নবাব স্যার খাজা আহসানউল্লাহর গর্বিত সন্তান,
রাজনীতিতে দাদা স্যার খাজাগণির ও আছে অবদান।
অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও ছিলে অতিসাধারণ,
83 বছরের জীবন যেন রংধনুর মত বর্ণাঢ্য আয়োজন।
জ্ঞানের আবর্জনায় ঢেকে গেছে তোমার অবদান
বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু জমিই দিলেনা অর্থেরও করলে সমাধান
এখনো তোমার সিন্দুক, দরিয়া-ই-নূর, ব্যাংকে আছে বন্ধুক,
বুয়েট নাহলে বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ার হতো না হতভাগা নিন্দুক
তুমি না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি হতো?
লেন্সের বিদায়,চার্লসের আগমন অনুষ্ঠানে দাবি তুললে যত।
ছয় শত একর জায়গার উপর প্রতিষ্টিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তুমি বড়লাটের সঙ্গে তীব্র বিতর্ক করেছিলে কলিকাতায়
সুদূর তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় সাহায্যের হাত বাড়ালে,
মানুষের কষ্টে, সম্পদ তাই দুহাতে অকাতরে বিলালে।
আধুনিক ঢাকার রুপকার প্রথম বিজলি বাতি জ্বালালে,
পানীয় টেলিফোনের আয়োজক, গল্পকে হার মানালে।
হায় নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি হয়ে আছে কলিকাতা,
যেখানে জানাজায় ঢল নেমেছিল, শোকাবহ মানবতা।
পারিবারিক গোরস্থানে বেগমপাড়ায় সমাধিস্থ হলে,
এখনো পথিকেরা জিয়ারত করে পাখিদের কোলাহলে।