হায় কুমার নদীর পাশে এই বৃষ্টি ভেজা সকাল,
মায়ের মুখ বার বার ভেসে আসছে হায় ইহকাল।
এখন সব সুখ ফিকে মনে হয় ফ্যাকাশে মেঘের মত,
আহা পাখি ডাকা ভোরে গত আগস্টে মা হয়েছে গত।
তার সঙ্গে মৃত্যুর 4 ঘণ্টা আগে হয়েছিল শেষ কথা,
মৃত্যু সে এক পরম সত্য জীবন্ত গল্প বেদনার কবিতা।
পৃথিবী আর আকাশকে মনে হয়েছিল অনন্ত কাল,
কিছুটা ভুল চিন্তা আর আসবেনা চলে গেছে পরকাল।
তার সঙ্গে দেখা হয় মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যে,
স্রষ্টার এক বড় নেয়ামত স্বপ্ন যেন জীবনও মৃত্যুর সান্নিধ্য।
শোকাহত আগস্টে মেঘ থেকে যেমন অঝোরে বৃষ্টি ঝরে,
চোখ থেকে শিশির ফোঁটার মতই প্রতিদিন কান্না পরে।
রাগ অভিমান ব্যর্থতা সফলতা সব বলতাম তারে,
সেইসব পাখি, সেই সব সময়, চলে গেছে এক এক করে।
কয়েকটি গ্রন্থে তার নাম ও ছবি যেন স্মৃতির অ্যালবাম,
তার লাগানো বৃক্ষ, কামরাঙ্গা, জামরুল, গোলাপ জাম।
কেন এই মৃত্যু? যদি না আসিতো কোনদিন?
যদি বেঁচে থাকিতো সে আমাদের মাঝে চিরদিন।
জানি দুর্বল সংকল্প ভুল চিন্তা মৃত্যু এক মহাসত্য,
আশা হল দেখা হবে জান্নাতে ঐশী কিতাবে অঙ্কিত।
তেরোশো কোটি বছরের নক্ষত্রের ছবি যদি দৃষ্টিতে আসে,
এইসব গ্রহপুঞ্জ ধ্বংস হবে,বিশ্বাসীরা পরকাল ভালোবাসে।
বিধাতা আবার জীবিত করবেন, জানি আবার দেখা হবে।
আহা আখেরাত কত সুন্দর, মায়ের পদতলে জান্নাত রবে।
কথা বলতে বলতে কখন যে সব কথা শেষ হয়ে আসে,
ভাবতেও পারিনি আর কখনো মাকে পাবনা পাশে।
মায়ের মৃত্যুর পর আজ এসেছে অবসাদ জিন্ন পাতার মতো ,
এখন বুকের ভিতর অবলা বেদনার সুর ভেসে আসে যত।
কত কষ্ট করেছে মা কত সরলতায় ঢাকা ছিল মন,
কত সহিষ্ণুতা ছিল জীবনে কত মানুষের অবলম্বন।
হে প্রশান্ত আত্মা তোমার ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়,
তোমার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী, আহা সময় কত দ্রুত ফুরায়।