কখনও মনে হয়,
অজুত পাখির ভিড়ে তোমাকে খোজা,
শুধু চোখ দেখে হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব
মনে হয় ভালো লাগা শৈশব।
কখনো মন খারাপ হলে শুধু দেখতে চায়
তুষার ঝড় যেন বইছে আকাশের নীল সীমানায়
শুধু দেখেছি অস্পষ্ট ছবি যেন ঢেউয়ের সুখ
মনে হয় কুমার নদীর জলে ধোয়া চাঁদমুখ।
কখনও মনে হয় ভোরের প্রার্থনা তুমি শিশিরের ফোটা
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ফুল শহীদমিনারের পথে খালি পায়ে হাঁটা
জালে ঘেরা পার্থিব লোভ, হু হু দীর্ঘশ্বাস
মনে হয় যেন দীঘির জলে সাঁতার কাটা বুনোহাঁস।
কখনো মনে হয় নদীর বুকে জেগে ওঠা আশার চর
কাশফুলের ঘেরা ফর্সা মুখ অপূর্ব সুন্দর এই পৃথিবীর পর
মনে হয় তুমি প্রার্থনা গৃহের জ্বলে যাওয়া ধুপ
আতরের শিশি থেকে ছড়িয়ে পড়া স্নিগ্ধ গন্ধ অপরূপ।
কখনো মনে হয় তুলিতে আঁকা প্রথম দেখা শিমুল
অথবা ফুলের গয়না, মরুদ্দ্যান থেকে উঠে আসা মরু ফুল
মনে হয় নীল খামে ভরা ভালো লাগা কবিতা
সমুদ্রের তীরে একা একা বসে থাকার নির্জনতা।
কখনো মনে হয় নকশী কাঁথায় ছবি আঁকা
প্রথম ও শেষ ভালোলাগার লাল-সবুজে মাখা পতাকা
পাথরে নুড়ীর মতো অরন্যের রঙ লেগে আছে তোমার গায়ে
মনে হয় তুমি হাটছো প্রভাতফেরিতে ধুলি মাখা পায়ে।
এ যেন কিছু উপমার কবিতা, কুয়াশামাখা স্বদেশ
কখনো মনে হয় বলে ফেলি ভালোবাসি বেশ।
তোমার চোখ ভরা অশ্রু দেখে সমুদ্রের চোখেও আসে জল,
মনে হয় ছদ্দবেশী ভালোবাসা অসম্ভব সহজ-সরল।