এক জীবনে তাঁর কীর্তি বললেও শেষ হবে না,
তিনি আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম কবিতার মাওলানা।
তিনি ধার্মিক ছিলেন, যদিও বকধার্মিক এরা বোঝেনি কবিতার ব্যাখ্যা,
প্রেমের কবি, সাম্যের কবি,দ্রোহের কবি হিসেবে নিয়েছেন দীক্ষা।
আমাদের আশা দুরাশা আজ, তোমার সমাধিতে যেয়ে কাঁদি,
হে চির বিদ্রোহী তোমার দুঃখে কেঁদে কেঁদে বহে শত সহস্ত্র নদী।
নক্ষত্রপুঞ্জের মতো তোমার কবিতা,কোরাআন, বেদ বাইবেল চুম্বেছে মরি মরি ,
ভন্ডরা আজ মিনারে চরিয়াগাহে স্বার্থের জয়!মানুষেরে ঘৃণা করি....।
রাজবন্দী থেকে জেলের নিরানন্দ অন্ধকারেও প্রদীপ হয়ে জ্বললে,
সৈনিক হয়ে প্রথম মহাযুদ্ধে অংশ নিলে , ১৭বছরে পড়লে....।
ভোরের স্নিগ্ধ রোদের মতো তোমার উপস্থিতি ছিল পৃথিবীর পর,
নিপিড়ীত জনতার চোখের পাপড়িতে গড়েছ আশার ঘর।
তুমি বলেছিলে কত ফোটা চোখের জলে এক ফোটা রক্ত হয়,
প্রিয় মুতাহারের কাছে লেখা চিঠি,সাহিত্যের কালজয়ী পংক্তি কি নয়?
আহা!গানের পাখি দেখ ভোর হয়েছে খুকুদের চোখ খুলেছে,
দেখ,হাল খুলে পাল তুলে অই তরী চলছে।
আহা!এত সুন্দর করে কে লিখবে বলবীর বল উন্নত মমশীর?
এখনো আবৃত্তিতে শিহরণ তোলে চির বিশ্বয়, বিশ্ববিধাতৃর।
তুমি বেচেঁ থাকবে অনন্তকাল,তুমি সূর্য উদয়ের ভোর....
তুমি বেচেঁ থাকবে রক্তের গন্ধে, তুমি সাগরের বর্ণিল নুড়িপাথর।