যুদ্ধ থেমে যাক, সবুজ মাঠে কেন ফসলের গোংরানি,
শিশুরা বাড়ী ফিরবে কবে, কেন এই হয়রানি?
যুদ্ধ যুদ্ধ উন্মাদনা নাকি কোন নেতার উল্লাস?
আধুনিক সভ্যতার নামে মানুষ এখনও শকুনের দাস।
গীর্জা, মসজিদে এখন সাদা বরফের মতো কাফনের ভীর,
আহা মৃত্যুই আশীর্বাদ যেন মধুমাখা ভোরের শিশির।
হাই ইউক্রেন, তোমার গভীর অরণ্যে আঁকাবাঁকা ঝরর্নায়,
বারুদের গন্ধ ভাসছে, প্রতিটি লাশ পড়ে আছে আঙিনায়।
যুদ্ধবিরতি ডাকো, বিমর্ষ আলোচনা শুরু হোক,যদিওপড়ন্ত বিকাল,
অবসাদগ্রস্ত চোখ, ঝিমানো চিন্তার পরিবর্তে আসিবে শীতল সকাল।
যুদ্ধের পোড়া ছাই না উড়িয়ে, নিন্দিত কবিতা শোনাও,
হয়তো মেঘ কেটে কেটে আসিবে বৃষ্টি, শান্তির বীজবোনাও।
বিরক্তকর লোমহর্ষক যুদ্ধ, নেতারা মানবতাহীন,
৬৩ জন শিশুর জানাজা হয়েছিল হায়! রক্তাক্ত ফিলিস্তিন।
পৃথিবীর সব শিশুর কষ্টে আমাদের চোখে জল আসেনি,
এইসব উচ্চাকাঙ্ক্ষা স্বার্থপর নেতারা মানুষের মৃত্যু থামাতে পারেনি।
যদিও ছোট্ট যুদ্ধ একদিন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত ছড়াবে চারিদিক
অরণ্যে দাবানল আসার আগেই সময়ের গুরুত্ব দিক।
তারপরও যদি দুর্বলতা আর সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে না পারে
এ যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে, আশার চর অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ঢডুববে।
আমি তুমি সে কেউ বাজবোনা যুদ্ধের আয়োজন থেকে,
অতীত নিয়ে শুধু ভাবনা নয় বর্তমান ভবিষ্যত ও জ্ঞানীরা দেখে।
নিরপেক্ষ মন না হলে ঐশী শাস্তি আসিবে মানব জাতির উপর,
শতাব্দি ব্যাপী অবিচার হয়েছে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে তবু রাখেনি খবর,
একজন মানুষকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা সমস্ত মানবতাকে খুন করা কি নয়?
তাহলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ইরাক কার ছিল যুদ্ধের দায়?
একটি জুলুম আরেকটি জুলুমের অনুভূতিতে কি সাড়া দেয় না?
মানবজাতির স্মৃতি কি বিমর্ষ,শব্দায়মান জলপ্রপাত এর আওয়াজ কি শুনেনা?