অসহ্য লাগে যখন দেখি ধর্মের নামে অধর্মের আয়োজন,
বিরক্ত বিষাদে ভাবি,উম্মতের মধ্যে কেনো এতো বিভাজন,
কুঞ্জ কুঞ্জ অন্ধকার কারা এনেছে আমাদের জামায়াতে,
বিভ্রান্ত উম্মা যারা দেখাবে পথ তারাই হাঁটছে অপরিচ্ছন্ন পথে
ধর্মের নামে অনঐক্যর অনুমতি কে দিয়েছে স্মৃতিভ্রষ্ট আসরে
কুরআনের অস্বীকারের অনুমতি কে দিয়েছে স্বল্প পরিসরে?
ধর্ম কি সমাজ চালাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি আমরা?
এক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াতে আছে,মোরা যে পথহারা
দেড়শত কোটি মুসলিম অর্ধেক নারী,নিপীড়িত জনতার পাল
জীবন্ত কবর থেকে শুরু করে সম্পদ থেকে বঞ্চিত চিরকাল।
অথচ ধর্ম শিক্ষা ও সম্পদে বানিয়েছে নারীকে কুসুম কলি।
কখনো স্বামী কখনও সন্তান কখনো রাষ্ট্রের হাতে হয়েছে বলি
মায়ের পদতলে জান্নাত, বলেনি জান্নাতের পদতলে মা,
ইসলামের সুমহান আলো না ছড়িয়ে,ঘৃণা যায় শোনা,
উম্মতদের বিভক্ত করে নবাবে হাকিকত সেজেছে গৃহকোনে!
এইসব সংক্ষিপ্ত ভন্ডামি স্লোগান শুনি কুয়াশাঘেরা বনে,
আর কতদিন নিম্নচাপ এর আড়ালে সূর্যের লাবণ্য আসবেনা,
মুক্তির শুভেচ্ছা জানাতে পারবো কবে তাও জানিনা,
শুধু জানি মুঠো মুঠো রৌদ্র আসবে আমাদের ধর্ম পাড়ায়।
বকধার্মিক দের দল পালাবে,ফের্কাবাজরা ডুববে সমুদ্রতলায়
ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি কোরআন কি নিষেধ করে নি?
অন্য ধর্মের দেব দেবীদের গালি দিতে কি বারণ করেনি?
তাহলে কেন বকধার্মিক দের মাতামাতি,ভাসে জোয়ার ভাটায়
কোন ক্ষতে মুসলিম উম্মা ডুকরে ডুকরে ব্যথায় কুঁকরায়?
নিজের মত খন্ডিত হতে দেখে অন্তরে ভাসে ক্রোধের জ্বালা!
নিজের দলের ভেতর ভিন্নমত দিলে সে হয়ে যায় নিরালা
কাফের মুনাফিক আরো কত কিছু বলে অন্তিম নির্যাস।
অথচ সামনে-পিছনে অপমান না করা মুমিনের দৃঢ় বিশ্বাস
দলবাজরা পায়ে পায়ে বাধায় সংঘর্ষ,ছড়ায় রক্তপাত,
পিরিত মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে বক্তৃতায় ক্ষতবিক্ষত,
এইসব দল ও নেতাদের দেখে পৃথিবী বিস্ময়ে হতবাক,
যদিও দলিত ধর্ম,রক্তের দাগ তবুও আসবে মুক্তির ডাক!