কবিতা এখন গিরি কন্দর পেরিয়ে,
বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্বাঘাসে এসে বসেছে।
যার কারণে এই একশত বছরের পুরনো উঠোন,
তার অবদান লিখতে যেয়ে বৃক্ষের আড়ালে মুখ লুকাই।
একজনের দান করা অনুভূতির তুমি আহত করার কে?
কেউ আমরা জানি না কেন এমন হলো?
এ উঠোনের পরাভূত গ্লানির কথা বলছি,
পরীক্ষার ফি ভাগবাটোয়ারার, হতাশার গল্প শুনছি।
পরিস্ফুটিত পুষ্পে ভরা ,হায় ভোরের বিদ্যালয়,
এখানের প্রতিটি ঘাস, বৃক্ষ আলপথ, স্মৃতিতে জড়ানো
রৌদ্র ঝলসিত আবেগময় মাঠ, এখন অসম কবিতা,
অথচ ইতিহাসের ধুলিঝরা পৃষ্ঠায় তোমার নাম।
বিভ্রান্ত অবক্ষয়, দৃষ্টিহীন করেছে শিক্ষিতদেরও,
অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ সুরক্ষিত হেলমেটে আবৃত চোখ।
এখন তোমার উঠোনে বসতেও বেশ ভয় জাগে,
তবু সেখানে গিয়ে অসমাপ্ত কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে।