তুমি জন্মেছিলে ১৮৮০সালে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায়
১৯৬৮,পহেলা জুন ধরার ধুলি থেকে নিলে চিরবিদায়।
হায় হেলেন কেলার তুমি অনাদিকালের দুঃখের প্রতিনিধি,
আহা তুমি ছিলে ধরণীতে , বাক-শ্রবণ আর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
তবুও জয় করলে মন,ফুল পাখি নদী সকলে হাসে,
রুজভেল্ট এর অনুরোধে যুদ্ধে দাঁড়ালে প্রতিবন্ধীদের পাশে।
কোন কিছুই বাধা হয়নি শিক্ষা নেতৃত্বেএমনকি ডক্টরেটে,
কত কথাই না বলতে চেয়েছিলে বলতে পারলে না মুখ ফুটে।
অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করলে তুমি প্রেরণার বাতি জ্বালালে,
হে সাহসী ঝড়,প্রতিবন্ধীদের জন্য রাজনীতিতে নামলে।
সুরের মেলোডি, শুনতে পেতে না তুমি ছিলে বধির,
শুনতে পেতেনা ঝরনার শব্দ, এমনকি প্রবাহিত নদীর।
গ্রাজুয়েট হওয়ার আগে লিখলে দি স্টোরি অব মাই লাইফ,
হায় জর্জ কেসলার হায় মার্কটোয়েন হায় কলেজ রেড লিভ।
শ্রবণশক্তি ফেরাতে কত চেষ্টাই না করেছিল স্যার গ্রাহামবেল
স্পর্শের অনুভূতি বলতে, দেখতে ও শুনতে অন্তর দেল।
কত কষ্টই না করেছিল অক্ষর জ্ঞান দিতে, শিক্ষিকা সুলিভিন
সেও ছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সুন্দর বন্ধু ছিল চার্লি চ্যাপলিন
মনে হয় যদি গোলাপ পাতার ফাঁকে আবার আসিতা
তখন আবার অবহেলিত পৃথিবীর প্রতিবন্ধীদের ভালবাসিতা
আলো ফুরিয়ে মৃত্যু জোনাকির মতো পড়ে আছো কবরে,
একজন প্রতিবন্ধীর বেদনা জানে শুধু তার পরিবারে।
জানি তোমার বইয়ের পাতায় লুকানো তাদের বেদনা,
কত প্রতিবন্ধী ডেকেছে মৃত্যু তবু আসেনি মরনের যাতনা।
হায় হেলেন কেলার তুমি অপূর্ব সুন্দর সৃষ্টি, বিধাতার,
তুমি কল্পনার মোনালিসা, প্রতিবাদী কন্ঠ কবিতার।
তুমি মা, পৃথিবীর সকল নিপীড়িত অসহায় প্রতিবন্ধীর,
তুমি হলে ভোরের চাঁদ,ধ্রুবতারা, বিস্ময় স্রষ্টার সৃষ্টির।