খুশির সংবাদ দিতে পারি,
শহীদ যারা তাদেরকে কি মৃত্যু বলতে পারি?
সত্যই তারা মৃত্যু নয় তারা জীবিত,
তারা আমাদের গর্ব তারা নন্দিত।
হায় মাগাজি, বেইত লাহিয়া, ইল আমান,
শত শহীদের দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা ছিল এখানে বহুকাল।
তোমরা বিস্ময়, পায়ের আওয়াজে ঘুম ভাঙলো,
মহাকালের চোখে অগ্নিঘড়ি, তারা কি করে জানলো?
হায় যারা চলে গেছে চির ঘুমের দেশে,
রক্তাক্ত শহীদের শরীর দেখে কেন যেন কষ্ট আসে!
হৃদয় ভারাক্রান্ত, ক্ষতবিক্ষত অসংখ্য সাংবাদিকদের দেহ,
যেন পুরো ফিলিস্তিন, মাটি কুপিয়েছে কুৎসিত রমেশ কেহ।
এতো সাংবাদিকের মৃত্যুর গল্প কি করে লিখি?
লাশের পাশে পুরো পৃথিবী, শহীদের মুখ বারবার দেখি।
মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদী আওয়াজ তারা শুনেনি,
গলিত সীসা তাদের কানে, দাজ্জাল কে তাও বুঝেনি?
এইসব অবিচারের বিচার করবে কোন জাতিসংঘ?
এইসব যুদ্ধঅপরাধের ময়না তদন্তে কেন রণভঙ্গ?
তবু লিখে যাব অনন্ত ঘুমে, ঘুমিয়ে পড়ার আগে,
এই সব নিষ্ঠুর আতঙ্কের জন্য মানবজাতি দায়ী সমভাগে।