এই পারেতে আমার বাড়ি ঐ পারেতে তোমার
মাঝখানেতে দৃস্টিশোভা ছোট্ট নদী 'কুমার'।
নাইতে এসে দুই পারেতে দুইজন দুপুর বেলা
চার চোখের চাহনিতে কি অপরুপ খেলা!
সিক্ত দেহে সিক্ত বসন দেখতে কি বাহার!
আপন করে পেতে তোমায় টুটলো নিদ্রা আহার।
নদীর ঢেউয়ে চিঠি লেখে বার্তা পাঠায় আমায়,
"জলদি করে ঘটক পাঠাও মিয়া বাড়ির গাঁয়।
এতিম আমি, গরীর আমি বড় অসহায়
কিছু যেন চাহে নাকো তোমার বাপ মায়।
শুধু এই মিনতি আমার রইল তোমার পরে
যৌবন পশরা ঢালা সাজিয়ে আসব তোমার ঘরে।"
সব শুনে অগ্লিমূর্তি আমার বাপ মায়,
"এসব পাগলের বচন শোনা বড় দায়।
দশ নয় পাঁচ নয় একটা মোটে পোয়া
এমন বউ আনলে ঘরে যাবে নাকো ছোঁয়া।
অর্থ বিত্ত নেই তো কিছু, নেই যশ নাম
পরের ক্ষেতে জন বেচা বাপ দাদার কাম।
কপাল মোদের খারাপ তাই জন্মেছিল ঘরে
গাং সাতরে মরতে যায় চুইন্যা কাঁশের চরে।"
মাথা নিচু করে থাকি বাপ মায়ের কথাায়
বুক খানি মোর ফেটে যায় অদৃশ্য এক ব্যাথায়।
মন যে আমার পাগল পারা চায় না কোন ধন
কেমন করে ভিজাই আমার বাপ মায়ের মন?
থাকো সখি সবুর করে পাষাণে বাঁধি বুক
আপন করে নেব তোমায় ঝড় যতই আসুক।
বর্ষা বাদল পার করে আশ্বিন মাসের পরে
তোমায় নিয়ে ঘার বাঁধিব মধুমতির চরে।
খুঁজে কেহ পাবে নাকো তোমায় আর আমায়
মাস তিনেক পার করিও সে সুখের আশায়।।