ওহে তরুণ !
কাকে সেলুট করছো তপ্ত দুপুরে কলেজের খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে?
মাথার ঘাম কপাল ভিজিয়ে নাক বেয়ে ঝরিয়ে !
পুষ্প সজ্জিত স্টেজ ছাদের নিচে শান্ত শীতল বলয়ে দাঁড়ানো ঐ লোকটিকে?
যার হাত কিনা এখনো সিক্ত সংখ্যালুঘুর সম্পদ হরণের ঘামে!
যার হাত কিনা এখনো রঞ্জিত আড়িয়ালখাঁর উত্তোলিত অবৈধ বালুর আস্তরণে!
যার হাত কিনা এখনো সঞ্চলিত চাকরি বানিজ্যের রিমোট কলে!
তাকে সেলুট করছো তুমি !
তপ্ত দুপুরে কলেজের খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে?
মাথার ঘাম কপাল ভিজিয়ে নাক বেয়ে ঝরিয়ে !
তোমার শুভ্র কোমল হাত খানি কি এতটাই মূল্যহীন?
যেই হাতে শোভিত ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত লাল সবুজের শুভ্র পতাকা ! যত্রতত্র সম্মান বিলিয়ে হাতকে কলঙ্কিত করোনা, প্লিজ!
একে, এদেরকে সেলুট না করে গিয়ে দাঁড়াও তোমার গৃহ আঙিনায় রোপিত লেবু গাছটির পাশে,
ওকে দেখিয়ে ডান হাত খানি টান করে তুলো কপালে।
কারণ, ও তোমাকে পুষ্টি দেয় সকাল আর বিকালে।
একবার বুকে হাত রেখে বলো দেকিন,
তোমার সেলুট পাবার যোগ্য একটি নেতাও কি আছে আষট্টি হাজার বর্গ মাইলের কোনো এক ইঞ্চিতে?
তাঁরা সকলেই গত হয়েছে অর্ধ শতাব্দী আগে।।