পৃথিবীটা অভিনয়ের কারখানা
অভিনয়ে ভরে গেছে শহর-বন্দর
ইচ্ছা করেও কেউ আর সে কথা বলে না
ভালো না বেসেও ভালোবাসিটা বলে।
কেউ আর বলে না—
তোমাকে ভালোবাসতে পারি না
তোমার চোখে আকাশ খুঁজে পাই না
কেউ আর বলে না—
তুমি শত অসুন্দরের মাঝে কেবলই
অসুন্দরটার কানাকড়ি।
এখন কেউ ইচ্ছা করেও নূপুরের শব্দ শোনে না
শোনে না ভেসে আসা সেই বাতাসের গান
যে গানে প্রেমের স্পর্শে গায়ে শিহরণ ওঠে।
এখন কেউ তো প্রেমের পথে উঁকি দেয় না
যদিও ভালোবাসা বদলে গেছে
না তাকিয়েও দেখার ছলে।
মন না চাইলেও অভিনয়ের শিল্পে
নিজেদেরকে শিল্পী প্রমাণিত করে
ভালোবাসার অকথ্যকে কবিতা বানায়।
কেউ আর জীবনকে প্রেমীর হাতে
হস্তান্তর করে না
শুধু হাত বাড়িয়ে দেয়;
ধরতে না চাইলেও
মিছে হাত ধরা— মিছে প্রেমের উৎকর্ষ।
কেউ আর নিজের মতো ভালোবাসে না
কেউ আর চোখে চোখ রেখে বলে না—
আমার পৃথিবীটার পুরোটা তুমি।
কেউ আর মুক্ত সময়ে প্রেমের পথে
হাঁটার মতো সহনশীল নয়—
ব্যস্ততার অনির্বাণে।
কেউ আর নিজের চেয়ে বেশি
অন্যকে নিয়ে ভাবে না;
যার জন্য অসীমতা উৎসর্গ করে
নিজেকে নিঃস্ব করে ফেলবে।
কেউ আর অভিনয়ের ঊর্ধ্বে কি?
কেউ কি সত্যিই ভালবেসে—
জোনাকির আলোয় রাত্রি যাপন করে?
কেউ কি তারাগুলোকে গুনে—
প্রেমীদের উষ্ণ হাতের সত্যতায়?
ভালোবাসার মিষ্ট-ভাব না খুঁজেই
ভালবাসার অভিনয়ে মিষ্টি করে
অনেককে কাঁদায় জীবন-ক্ষণে।
সে কাঁদার ওপারে সত্য প্রেম বটে;
তাহলে মিছে এতো প্রেম কেন?
কেন কথা না বলেই এতো কথার মেলা
যেখানে কেবলই খেলার চলাচল।
ভালবাসার অভিনয়ে সবাই বিজ্ঞ
স্বপ্ন দেখার অপ্রয়োজনে;
যেখানে প্রমীদের প্রেম নিয়ে খেলা
সেখানে বিশ্বাসের নিত্য অভাব।
[ ৯ই জুন, ২০১৯]