প্রেমের কবি হতে চেয়েছিলাম
কিন্তু প্রেম কাছে আসলো না
প্রেম সর্বদা দূরে দূরে থাকে
নীরবে কাঁদায় আমাকে।
প্রেম কী! — চোখে দেখেও দেখলাম না
স্বপ্নে এলেও বাস্তবে প্রেমের—
পূর্ণিমাচাঁদ-রূপ মুখচ্ছবি আসলো না
প্রেমে কি হা-হা-কার অবস্থা!
কি নিদারূণ সব ব্যথা-বেদনা
তবু প্রেম হৃদয়ে জাগায় স্বান্তনা।
স্পন্দিত করে তোলে আমাকে।
প্রেম সজীব
প্রেম পবিত্র
প্রেম আনন্দানুভূতি
প্রেম হৃদয়ের আবেগ
প্রেম কান্না
প্রেম অশ্রুধারা
প্রেম-জীবনে চলার সাথী।
আহা! এ বিশ্ববুকের—এ সুন্দর জগতের
সবকিছুর যদি প্রেমে পড়িতাম
প্রেম একলা ফেলে থাকতো কি করে!
প্রেমকে আসতেই হতো।
প্রাণোল্লাসে সাড়া পেতাম তখনই।
প্রেম শান্তবাতি
প্রেম নিশিরাত্রি
প্রেম দাগলাগা খুন
প্রেম আবেগের আগুন
উজ্জ্বল হাসিতে প্রেম
চোখের চাহনিতে প্রেম
প্রতি পদে প্রেম আর প্রেম।
প্রেমের লেখা কত পড়েছি।
পড়তে ভালোবাসি প্রেমের উপন্যাস।
লিখতে প্রেমের কবিতা
অন্তরে ব্যথা জাগে
ধুক ধুক করে উঠে।
তাও হতে চাই প্রেমের কবি
ব্যর্থ প্রেমের সার্থক কবি।
কাছে ডাকি প্রেমকে যেন
দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়
উঁকি মেরে যেন দেখে
একটু সুখের ছোয়া দিয়ে যায় আমাকে।
ভুলা আর না ভুলার এই প্রেম
কে ভুলতে পেরেছে কবে?
কবি?–সে তো প্রেমের পূজারী।
সে কি আর ভুলতে পারবে?
তাইতো প্রেমের ছড়া নিত্য লিখে যায়
প্রেমকে আর একটু পিছু ডাক দেয়।
প্রেমের ইতিহাস লেখনীর গাঁথায়
অল্প অল্প ছড়িয়ে দেয়-কাগজের পাতায় পাতায়।