আমি গণজাগরনের কথা বলছি
সেই জাগরণের কথা বলছি
যে জাগরণে বাংলার মানুষ ফুঁসে উঠবে উত্তাল সমুদ্রের মত
কানের পর্দা ফাটানো বজ্রের মত
যে জাগরনে জাগ্রত জনগণ হন্তারক নেতাদের
ছুরে ফেলবে ময়লা আবর্জনার মত ডাস্টবিনে
যারা শত মানুষের লাশের ওপর খুঁটি গাড়ছে দলীয় পতাকার
যারা মানুষে মানুষে সৃষ্টি করছে বিভেদ আর দলের মেলা
যারা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে হলীর খেলা
যারা সন্ত্রাসী হয়ে সাধারনের খুলিতে হানছে বেয়োনেট
তাদের পতনে বলছি গনজাগরনের
আমি সেই জাগরণের দিন চাই
যে দিন ঢাকার রমনা পার্কে, সোহোরাওয়াদি উদ্যানে দিনাজপুরের বড়মাঠে
শহরে-বন্দরে, গ্রামে, গঞ্জে লাখো মানুষ আমরণ অনশন করবে
নেতাদের একই কাতারে আনতে, আলোচনায় সমাধানের পথ খুঁজতে
আমি জাগরণ চাই সেই সব বেহায়াদের বিরুদ্ধে
জারা ধর্মের নামে শত মানুষের লাশের ব্যবসা করে
যারা দেশের চেয়ে নিজের স্বার্থকে বেশি বড় মনে করে
আমি দল চাই না, বল চাই না, চাই না হাহাকারের
হাভাতেদের দুঃখ ঘোচাতে চাই গনজাগরনের
শীতের রাতে পরনে যাদের কাপড় জোটে না
যাদের ভাবনা কেন তাদের মরণ আসে না
তাদের বাচাতে জাগরণটার নেইকো তুলনা
ছোট্ট শিশু চায়ের দোকানে পরটা বিলি করে
জাগরনি বীর জিজ্ঞেস করবে সকালে তুমি কি খেলে?
রাস্তার পাশে ভিক্ষুকটা সারাদিন পরে থাকে
মায়া হলে পথের লোকেরা দু-এক টাকা ফেকে
তার জন্য জাগ্রত বীর করবে বলো কি?
কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করবে তোমার দুঃখ কী?
এক্সিডেন্টে আহত হয়ে পরে আছে এক লোক
সবাই বলে এ্যাম্বুলেন্সটা তাড়া করে একটু ঢোক
মোর জাগরনি বীর সেনানী এটা করার চেয়ে
বাইকে করে নিয়ে যাবে তাকে হাসপাতালে।