আজি বসন্ত বন্দনার তালে
কি লিখিবো
আঁকিবো কার নাম
রজনীগন্ধার ডালে।।
প্রণতিকি দিবো তারে
অসীম ছলনা ভরে
দিয়াছে যে বুকে ব্যথা
শত স্মৃতি, বেদনা বিহব্বলতা।।
আঁকিয়াছে নেত্রে
একফোটা অশ্রুবিন্দু।
শত আশিস দিয়া
কপালে দিয়াছু বিদায় টিকা।
নাকি দুখের বাবুই পাখি
ডাকিয়াছে কাছে, জড়ায়েছে বুকে
করিয়াছে কলতান, শুনায়েছে কতগান।।
মরমে মরমী কবি
মুখে কত ভালোবাসা
ঠোটে বাঁকা হাসি
অন্তরে কি যে ঠাসা!!
আরো ছিল পাশে কেউ
অন্তরে নামে ঢেউ
শিখায়েছে সমুদ্রের অটলতা।।
হাতে ধরে হাত
বলিয়াছে চল কবি
জীবনও প্রতিভা ছবি
করিবো অম্লান
রাখিবো নাম পৃথিবীর ইতিহাসে।
চোখে আসে ঘোর
ঠোটে লাগে নেশা
অন্তরে ভয়
পাছে কি যে হয়!
এমই করিয়া হায়
বসন্ত কাটিয়া যায়
গাছে ফুল ঠিকই ফোটে
বাস ঝাড়ে ঘুঘু ডাকে।।
নিজের শরীরে বসে
নিজের এই বুড়ো মন
কখন কোথায় থাকে
কি যে চায় প্রতিক্ষণ!!
চোখে আসে ঘোর
ঠোটে লাগে নেশা
অন্তরে ভয়
পাছে কিযে হয়।।