কবিঃ সিনথিয়া তুমি কি চোরাবালির মধ্যে পরে যাচ্ছ না?
সিনথিয়াঃ কীভাবে? শুনি
কবিঃ আমি মানুষ ভালো না
সিনথিয়াঃ তাই নাকি, পুলিশে দেয়া লাগবে?
কবিঃ আমার একটু পাগলামির বেড়াম আছে।
মাঝে, মধ্যে ওষুধ লাগে।
সিনথিয়াঃ তাহলে পাবনা পাঠাবো।
কবিঃ হ্যা, একবার বাপ, মা জোড় করে নিয়ে গেছিলো। আমি পালিয়ে এসেছি।
সিনথিয়াঃ আসলেই??!!
কবিঃ হুম
সিনথিয়াঃ আপনি ফান করছেন। তাহলে বিসিএস পড়েন কেমনে?
কবিঃ ভাবলাম তোমায় ব্যাপারটা না বললে অন্যায় হবে।
সিনথিয়াঃ আচ্ছা বলেন, কি প্রব্লেম?
কবিঃ আমি পড়ি ভালো। কিন্তু ঐ রোগটা মাঝে মাঝে হয়। সূর্য যখন প্রখর তাপে মাঝ আকাশে আগুন ছড়ায় তখন।
সিনথিয়াঃ অই মিয়া আপনি মজা নেন!
কবিঃ নো। রিপোর্ট আছে। দেবা নে কাল। ডান মস্তিষ্কের একটা তার ছেড়া, নার্ভ বলে ডক্টররা।
সিনথিয়াঃ এরকমতো কখনো শুনি নি! আর কি?
কবিঃ আর কিছু না। ঐ তারটা মানে নার্ভ ছেড়া থাকার কারনে তা দিয়ে রক্ত যেতে পারে না গরমের দিনে। তাই ওরকম হয়। তোমার পরিচিত কোন ডক্টর থাকলে জিজ্ঞেস কইরো।
সিনথিয়াঃ আপনার এমন হল কেন?
কবিঃ জানিনাতো। হয়তো অন্য কেউ সহানুভূতি দেখাবে তাই।
সিনথিয়াঃ এই জন্য কবিদের সাথে কথা বলতে হয় না। কোন কথার মানে বুঝি না।
কবিঃ এটাই জীবন। সব বোঝা যায় না। তবুও মানুষকে বোঝার ভান করতে হয়। হুম, বুঝছি, জি, ঠিক আছে এসব বলতে হয়।
সিনথিয়াঃ আপনার প্রোবলেমটা যখন হয় কি করেন?
কবিঃ দৌড়াদৌড়ি করি; কখনো গাছে উঠি, গাছের মগডালে; কখনো রাস্তায় কাগজ কুড়োই। তারপর বাপ, মা এনে ওষুধ গেলায় হাজারটা। আমি সুস্থ হই। পড়তে বসি।
সিনথিয়াঃ আপনিতো ঢাকায় থাকেন। ঢাকায় এমন হলেতো হারিয়ে যাবেন।
কবিঃ অত পাগলও আমি না। সারাদিন রাস্তায় ঘুরে ঠিকই বাড়ি আসি। আর আমার রুমমেট বন্ধু আছে, সোহাগ। খুব ভালো বন্ধ আমার, খুব ভালোবাসে আমাকে। তবে আশার কথা মেলাদিন রোগটা ওঠে না।
সিনথিয়াঃ ডক্টর বলেনি কেন এমন হল? জন্ম থেকেই কি সমষ্যাটা?
কবিঃ জন্ম থেকে মানুষ পাগল হলেতো বাপ, মা মুখে নুন দিয়ে মেরে ফেলতো। তাই মনে হয় বিধাতা ওমন করে না। মানুষ বড় হয়ে পাগল হয়। গাধার মত বড় হয়ে কেউ টাকার পাগল, কেউ গাড়ির পাগল, আর আমি আকাশের পাগল।
সিনথিয়াঃ এখনো চলে মেডিসিন?
কবিঃ হুম। ঘেচু চেন? শতমূলি? আর ঘাসের সাথে মাটির ভিতর হয় কেরলা না কি! কালো কালো, ছাগলের নাদির মতো তা আমার সকাল, সন্ধার পথ্য।
সিনথিয়াঃ পানির সাথে মিশিয়ে খান?
কবিঃ না। চিবিয়ে, চিবিয়ে খাই। গরু যেমন যাবর কাটে ওরকম যাবর কাটি।
সিনথিয়াঃ এগুলোতো কবিরাজি। আপনি ডক্টরের নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।
কবিঃ কবিরাজই ভালো। মনের ব্যাথাও সারিয়ে তোলে।
সিনথিয়াঃ হুম।
কবিঃ গাছের মগগডালে উঠে আকাশ দেখেছো কখনো? সেই সুন্দর। ছোপ ছোপ।
সিনথিয়াঃ কি বলেন? এসবে আমার ভয় করে!
কবিঃ গাছের মগ ডালে উঠে মাঝে মাঝে আমি বানরের মত উল্টো ঝুলে আকাশ দেখি।
সিনথিয়াঃ আমি কথা বলবোনা এখন। আমার ভয় করছে! ঘুমাই
কবিঃ শুভ কামনা। গুড নাইট।