আহা!আমাকে একটু লুকিয়ে রাখ।
লুকোবার মতো জায়গা আমি খুঁজে পাচ্ছিনা।
ওই ঝুপটিতে আমি লুকোবনা বাবা,
ঐ গাছের ডালে তো চাক।
তবুও লুকোলাম,
দেখতে পাইনি মাটিতে বানানো লাল পিঁপড়েদের শহর, সভ্যতা।
তাদের গোলার আঘাতে আমার পা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
চিৎকার....
তারপর, আমিই একটিপ, আমিই বুড়ি, শেষমেষ, খেলা শেষ।
কত খেলা খেলেছি। কত্ত!
এখন নিজেই ভেবে নিজেই আঁতকে উঠি।
হা..হা..হা, অনেকে বলেন, কবি রা নাকি মিথ্যেবাদী হয়।
আসলে, কোনো কবিই মিথ্যে বলে না।
মিথ্যে বলা কবিদের স্বভাব নয়।
খুব ছোট বেলায়, যখন লাল রঙা হাফপ্যান্ট চেপে বসত লাল রাবার সহ কোমড়ে,
তখন একটু খেলতাম। খেলা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ।
সত্যি বলতে, ছোট বেলায় খুব রোগা ছিলাম।
অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠতাম।
তাই,ফুটবল কিংবা জাম্বুরা বল কোনোটায় আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।
মেয়েদের মিছেমিছি সংসার পাতানো খেলার মানে বুঝতাম না।
তখন তো আর ভিডিও গেইম ছিল না।
একা একা ঘুরতাম, দেখতাম অবসন্ন নিরব পুকুর পাড়।
হেলে পড়া বাঁশের ডগায় অপেক্ষমান মাছরাঙা দেখতাম,
দেখে দেখে রংধনু পেরিয়ে রাত আসলে রাতকে আপন ভেবে প্রদীপ জ্বালাতাম।
এভাবে ভেঙেছি অনেক প্রদীপ চিমনী, কেটেছি আঙুল।
কেঁদেছি, প্রচুর কেঁদেছি। ডুঁকরে ডুঁকরে কেঁদেছি...