গলায় একটা স্বর্ণের চেইন,
হাতে পঞ্চম শতাব্দীর পুরনো
এক জোড়া নাম না জানা বালা
পড়িয়ে দিয়ে কেউ একজন
"কথা আক্তার স্বর্ণা"কে এই প্রথম ভালোবাসা-প্রেমের গপ্পো শুনালো।
বললো, সময় পাইনি গো। আমরা না হয় বিয়ের পরেই প্রেম করবো।তুমি শুধু আমার স্ত্রী হবে না গো। প্রেমিকাও।
শুধু স্ত্রী হলে ঘরে বসে থাকতে হবে গো।
যদি প্রেমিকা হতে চাও, তবে আমার সাথে হাঁটো,
আমার পাশে হাঁটো,
কনিষ্ঠা আঙ্গুল ধরে হাঁটো।
চলো, যাপন করি পরিব্রাজক রাত।
স্বর্ণা,স্বর্ণকেশী ।
পোড়খাওয়া এক মেয়ে।
মেঘের মতো যার মন
পাল্টায় না।
সাধারণ মেয়ে,
মধ্যবিত্তের ধারক।
জীবন কখনো তার
স্থবির ছিল না।
জন্মের পর থেকেই
অন্তিম উদ্দেশ্যে
উদ্দেশ্যহীন পথেই
হেঁটেছে সে।
তার কপালে জুটেছে
পরিব্রাজক স্বামী।
তার মতো সুখি হতে
পারবে কি তুমি?
একসাথে দুইজন
একের অনুপস্থিতিতে
একজন।
পথচলা থামেনা কখনো।
তবুও ফুরোয় না উদ্দেশ্যহীন পথ।
জন্ম থেকে হাঁটছি, পরিব্রাজক।