শহর আজ অসুস্থ।
শহরের মানুষগুলোও কেমন যেন।
শহর ও শহরের উপত্যকার যেদিকে তাকাই
সেদিকেই দেখি সোনালি নেটওয়ার্কস এর বিজ্ঞাপন।
সব স্বপ্ন আর বাস্তব দিন তথা জীবন যাপনকে পায়ে মাড়িয়ে
আমি যখন ফিরে যেতে চেয়েছিলাম আমার চিরচেনা
প্রিয় শৈশবের শহরের দিকে
তখন দেখি চিরচেনা শহরও পাল্টে গেছে আমূল।
সে শহরে তখন যারা মানুষ ছিল
তারা এখন একেকটা আস্ত নেতা।
বড় বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
জনগনের প্রতিনিধি।
সাধারনের মধ্যে অসাধারন!
দশের মধ্যে এগারো।
হাজার হাজার খালি হাতের মাঝে লাঠি।
স্লোগানের মাঝের বিস্ফোরণ।
হাজার হাজার শুভ্র শিশিরের মাঝে জলন্ত আগ্নেয়গিরি।
লাখো লাখো প্রজাপতির মাঝে ফালতু কালো ভ্রমর।
শহর বদলেছে আমূল। শহরের পাদদেশে এখন কঙ্কালের বাগান।
শহরের পাশের এক পাহাড়ে আছে গুমঘর।
আছে মৃত্যুকূপ। শহরের চারিপাশে শরণার্থীদের মিছিল।
''শহর, দ্য মেট্রো লাইফ'' লেখার অপরাধে
শহরাস্তঃ জেলখানায় বন্দী একশো একজন কবি, লেখক, কলামিস্ট।
ভালো মানসিকতা পোষন করতো যে পুলিশ কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
তারা আজ ঘুষ ও প্রচলিত নোংরা সিস্টেমের বেড়াজালে বন্দী।
তাদের অশ্রু দিয়ে গড়ে উঠেছে ছোটো খাটো একটা ওয়াটার ল্যান্ড।
শহর আজ অসুস্থ, শহর আজ অসুস্থ, শহর আজ অসুস্থ- বলতে বলতে ঝড় তুলেছে নান্দনিক মাতালের দল।
তালগাছের অগ্রভাগে ঝুলে আছে একাত্তরের যীশুরা গত একাত্তর থেকে।
তাদের রক্ত মাখা কাদায় লেপে আছে শহরের মাটি।
সেই শহরের মাটিতে প্রায়শয় চলে রাজনৈতিক রাশ উৎসব।
দৃষ্টির অভ্যন্তরে থাকা মেয়েদের মলেস্ট করে তোলা হয় ছবি,
করা হয় ভিডিও, যেন গ্যাং রেপ কে ও হার মানায়।
শহরের নব্য বুদ্ধিজীবী যারা, তারা এসবের পক্ষে সাফাই গায়।
কথা শুনলে মনে হয় যেন গুণকীর্তন করে।
“এই বালের শহরে আর থাকবোনা” বলে গলায় ওড়না পেচিয়ে হাওয়ায় ভেসে হাইতি যায় মৎস্যকুমারী।