তোমরা বিশ্বাস করো
আমার অস্তিত্বের আদি যাত্রায়
এতো রক্তপাত কেবলমাত্র কবিতার জন্যই
কবিতার জন্যই বুকে পুঁতেছি গোলাপ বাগান।
নিজস্ব চোখের ব্যক্তিগত উষ্ণতায়
তীব্র আকাঙ্খায় সুন্দর মুখের বাঁকা টিপে-
আমি মরা প্রজাপ্রতির মতো পরে ছিলাম
শুধুমাত্র কবিতার জন্যই।
চোখের পানিতে ভেসে বেড়াতে বেড়াতে
মোমবাতির মৃত আলোর সচ্ছতায়
আবিষ্কার করেছিলাম কাজলের অস্তিত্ব
কি অসম্ভব আবিষ্কার!
মধ্য রাতে চিৎকার করে উঠে দ্বীর্ঘশ্বাস
চেয়ে দেখি হলুদ চায়ের উষ্ণতায়
অপবিত্র সফলতা গনজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে
সূর্যের অসাম্প্রদায়িক গনিতের প্রথম অধ্যায়।
তোমরা বিশ্বাস করো
পৃথিবী আজো উদ্ধার যোগ্য
আজো আমরা চিৎকার করে বলতে পারি
কবিতার শক্তিতে দখল করা যায় রাজপথ।
তবুও যদি অবিশ্বাসের কালো অক্ষরে
তোমরা মিথ্যার স্মারক রচনা করো
যদি ভালোবাসাকে ভালবাসি বলতেই না দাও।
তবে উন্মাদ সভ্যতার অপরিণত স্নায়ু কোষের অন্ধকারে
রমনার উর্ধ্বমূখি কৃষ্ণচূড়ার নিচে
ফাঁসীর দাবি নিয়ে নিশ্চয়ই একদিন দাড়িয়ে যাবো
কোন এক ফাল্গুনের মহার্ঘ্য পূর্ণিমায়।