যাদের কাছে স্বাধিনতা শব্দটা ছিল আবছা
যাদের কাছে স্বাধীনতার মানে ছিল-
মোটা ভাত আর মোটা কাপড়
স্বাধীনতা মানে দেশটা একান্তই আমাগর
থাকবে না আর কোন অত্যাচারী মাতব্বর
আমি নিরক্ষর মুক্তিযোদ্ধা সহযোগী মাঝি
রাজ্জাক মিয়ার কথা বলছি।

যারা বাংলাদেশের জনসংখ্যার সেই পঞ্চাশং
যাদের অবস্থান ছিল দ্ররিদ্রসীমার নিচে।
যারা মনে করে ছিল দেশটা স্বাধীন হলে
প্রাপ্তি বোধটাও একই রকম হবে।
যাদের এখনো একটা প্রশ্ন বাতাসে বিদ্যমান
আপনেরা তো স্বাধীন হইলেন
আমাগর স্বাদীন কই!
আমাগর তো এহনও যুদ্ধ করতে হয়।
শোষণ ত্রাসের ঝলসানো আলোয়
যুদ্ধ করতে করতে আজ তারা রণক্লান্ত।

তাই স্বাধীনতার অর্থও আজ বদলে গেছে
আজ রাষ্ট্রিয় অর্থের বাধাহীন লুন্ঠনের নাম স্বাধীনতা
ক্ষমতার অপপ্রয়োগের নাম স্বাধীনতা
প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর নাম স্বাধীনতা।

সেই দুঃখই আমাদের আজন্মকাল পোড়ায়
হৃদপিন্ডের সেই ফোঁড়ার জন্য-
আজও কোন শল্যচিকিৎসা নেই
আছে কেবলই দহন যন্ত্রণা।

যার জন্য পুড়েছে সহস্র মাঠ
পুড়েছে শত শত পাখিদের ডানা
গুলিবিদ্ধ হয়ে মরেছে বোনের সোহাগ
ধর্ষিত হয়েছে আমাদের স্নেহময়ী মাতা
ফায়ারিং স্কোয়াডে ঝাঁঝরা হয়ে মরেছে অগনিত পিতা
কোথায় সেই সোনার হরিণ বাংলার স্বাধীনতা?

২৪/১০/২০২২ইং
স্বামীবাগ গেন্ডারিয়া ঢাকা।