কোনবা দ্যাশে থাক তুমি কোথায় তোমার ঘর
না জানিয়া তোমারে রাখিলাম পরাণের ভিতর।
পিরিতের সোহাগে কইরো বসত থাইকো চিরকাল
আন্ধারে রাইখা আমারে দিওনা উড়াল।
তোমার সোহাগের আর্শিতে বান্ধা আমার পরাণ
দুঃখ দিয়া আমারে পিন্দাইওনা সাদা কাফন।
রোজ তোমারে নিয়া কত খোয়াব দেখি
তোমারে লইয়া সোন্দর একখান ঘর বান্ধুম
কত সাধ কইরা নানা পদের ব্যঞ্জন রান্ধুম।
বানিজ্যে গ্যালা তুমি বৈদেশে,
বেবাক মানুষ ফিরা আসে,
তুমি য্যান হারাইয়া গ্যালা অচিনা বাতাসে।
পিরিতের পুন্নিমার চান ডুইবা গেল আন্ধারে
আমারে ফ্যালাইয়া গ্যালা অকুল পাথারে।
সোহাগের ঘর আমার হইল বিরাণ
পরান জ্বলে তুষের আগুনের লাহান।
কার কাছে জিগামু তোমার কথা,
বিরান ঘরের উঠানে ঝরে শুকনা পাতা।
রাইতের বেলা মিয়ার ব্যাটা দরজায় টোকা মারে।
কখন যে গোক্ষুরগুলা ছোবল মারে,
আন্ধার রাইতে সবাই পিরিতের নাগর হইবার চায়।
তেল সাবান পিন্দনের দামি কাপড় দিবার চায়।
গ্যারামের মানুষ আমারে নিয়া কত কথা কয় ,
মনে তখন লয়,
গলায় কলসি বাইন্ধা নদীতে ডুইবা মরি।
তুমি তাড়াতাড়ি ফিরা আইস বাড়ি।