কন্যা থেকে পরিপূর্ণ নারী হতে,
অহর্নিশ অশ্রু ঝরে পথের ধুলায়।
অন্তপুরে নারীর অন্তহীন ব্যথিত হৃদয়ের খোঁজ
কেউ রাখেনি। একসময়,
চৌহদ্দি থেকে বের হয়ে নারীর ডানা মেলে
উড়বার বড় সাধ হয়।
এভারেষ্ট থেকে মহাশুন্য সব এখন
নারীর হাতের মুঠোয়।
তারপরও তথাকথিত সমাজ মাঝে মাঝে
নারীর উড়বার ডানাটা কেটে দেয়।
ক্ষণিক থমকে দাঁড়ায়।
একাকী বন্ধুহীন নারী আবারও শাণিত
চিত্তে এগিয়ে যায়
সংসার সমাজ বিনির্মানে নারী, দায়িত্বের
বিবরে বন্দি থেকে যায়।
স্রোতস্বিনী নদীর মত নারীর জীবন বয়ে যায়,
শত সহস্র অপমান আর অবহেলায়।
রোজকার ব্যস্ততা,ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা
জীবনে নেমে আসে রাত্রির নিস্তব্ধতা।
দিন শেষে নিদ হারা নিশীথিনীর একলা জীবন,
এ যেন নারীর আত্মকথা।
নারীর গর্ভের অন্ধকারে সৃষ্টিকর্তার অপার
মহিমায় প্রাণের সৃষ্টি হয়।
বিধাতা দিলেন তাকে মাতৃত্বের সম্মান।
অথচ আধুনিক সভ্যতার মোড়কে,
নষ্ট সমাজপতিদের সুসজ্জিত বিছানায়
এই নারী আবার নষ্ট হয়ে যায়।
কষ্টে ভরা নষ্ট জীবনের গল্প নারী
একলা বয়ে বেড়ায়।
অতঃপর,
ক্ষয়িষ্ণু জীবনের শরীরি ভাষায় মেয়ে মানুষ
হয়ে নয়, নারী বাঁচবে মানুষের মর্যাদায়।