ভাই কোরবানির গরু কিনছেন বেশ, ভালো কথা!
কিন্তু সেটা আবার ফেসবুকে দিতে হবে কেন?
তাও আবার রং টা কেমন?
কত দিয়ে কিনলেন?
আরো কত কি?
ফেসবুকে দিয়েও আপনার খায়েশ মিটে নাই,
এইবার অন্যদের বিব্রত করা শুরু করলেন
কোরবানির গরু কিনলো কিনা?
না কিনলে, কেন কেনেনি ?
আরো কত কী?
আপনার অবান্তর প্রশ্নে
মানুষ আছে মনো কষ্টে।
আপনি কি বুঝেন না!
আপনার প্রশ্নে মানুষ বিব্রত হয়।
এতো গেলো কেনার বিষয়।
এবার আসি আসল কথায়-
ঈদের দিন গরু কোরবানি দিলেন
বেশ করেছেন, পূণ্যের কাজ করেছেন,
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হলো আপনার জীবন।
কিন্তু জবাই করা পশুর ছবিও ফেসবুকে দিতে হবে!
কত বড়!
আর কত দামী পশু!
খুব দেখালেন
খুব বাহাদুরি নাহ্!
সবাই দেখলো, আপনি কোরবানি দিলেন
ইচ্ছে মতো জানান দিলেন
বিশ্বব্যাপী জানান দিলেন
কী লাভ হলো!
আপনার ত্যাগে স্রষ্টা কী খুশি হলেন?
আল্লাহ কী ফেসবুকে দিতে বলেন?
ফেসবুকে দিয়ে আপনি হলেন মহামান্য
কিন্তু আল্লাহর কাছে হলেন অতি নগন্য,
পরকালে আপনার ফলাফল হবে শূন্য।
--------------------------------//----------------------------
সময়ঃ দুপুর ১ঃ ৩০ ঘটিকা
তারিখঃ ০৯/০৭/২২
স্থানঃ আনন্দ ডিজিটাল মডেল স্কুল।