কিছু তো চাওয়ার ছিলো না!
আমরা শুধু একটু ভালো থাকতে চেয়েছিলাম।
দেখো চারিদিকে কত উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে
তবুও মানুষ কেনো এত উন্নয়ন গড়ে বলতে পারো?
বলতে পারো,
কতদিন না খেয়ে মানুষ  ভালো থাকতে পারে?
বলতে পারো,
ক্ষুধা নিবারণ কতদিন পর্যন্ত অশান্তির উন্নয়নের ঢোক গেলা যায়?
বলতে পারো,
কত বড় উন্নয়ন হলে আমজনতার কাঁধে ক্ষুধার্তের
কাঁটাতার এসে বিঁধে?
বলতে পারো,
ক্ষুধার রোষে অসহায়ত্ব নির্ঝর ধারা আর কতদিন বারির মত ঝরে পড়বে?

তোমরা বিরাট সুখেই আছো,
মধ্যখানে থেকে আমাদের অসহায়ের প্রতিচ্ছবি নিয়ে প্রতিদিন কত ছবিও বানাচ্ছো!
বড় বড় বিলবোর্ড,বড় বড় নায়িকা
অসহায়ের অভিনয় করে মোটা অংকের টাকাও পাচ্ছে বেশ!
কিন্তু এই যে অসহায় তার অবস্থা কিন্তু নিঃশেষ।

কোথায় কেউ নেই,নেই কোলাহল,মুক্ত আকাশে নির্বাক তাকিয়ে ক্ষুধার তারা গুনে আকাশের বুকে!
কি অসাধারণ চিত্র বটে!
গ্রীষ্ম এসে শীত যায়,শরৎ আর হেমন্তের সকাল কখন যে উঁকি দেয় সেটা বোধহয় উঁচু শ্রেনীরা বুঝে!
জ্যোৎস্নার আলো আজকাল ফাঁকি দেয়,যেমনটা
ফাঁকি দেয় উন্নয়নের ভাব ধারা!
এ জীবন বুঝি এভাবে যাবে কাটে
যাচ্ছে যাক তবুও তো কারো খারাপের কারন হচ্ছিনা!

আমরা ভালো আছি, খুব ভালোই আছি
দিনের পর দিন,রাতের পর রাত এভাবে কেটে যাচ্ছে।
কোন এক স্নিগ্ধ নরম শুক্রবার হয়তো কোন মসজিদের মিনার দিবে হাকঁ, ওমুকের ছেলে তমুক উপরে পড়েছে ডাক।
তবুও তারা ভালো থাক।
ইতি তোমাদের মাঝে অসহায়ত্বের শিকলে মোড়া এক হতভাগা নির্বাক!


১০ অক্টোবর ২০২৪