যে পিতা, এখনো দিব্যি ঘরের ভিতর বসে থেকে ছাত্র জনতার মার খাওয়া দেখে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে পিতৃতুল্য অভিভাবক, তার সন্তান তুল্য সন্তানের জন্য বিন্দু মাত্র আহা প্রকাশ করে না আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে ভাই, তার ভাইয়ের অসহায়ের প্রতিচ্ছবি দেখেও না দেখার ভান করে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে স্বজনেরা, হাসপাতালের বিভিন্ন বেডে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরানো ছাত্রদের দেখে কষ্ট না পায় আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে স্বজাতি ভাই, তার ভাইয়ের কষ্টে এক ফোটাঁ অশ্রু ফেলতে পারে না আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে নেতা, তার কর্মী সমাজের অসহায়ত্বের প্রতিচ্ছবি দেখেও ইলিশভাজা দিয়ে ভাত খায়
আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে প্রশাসন, জনগণের টাকায় বুলেট কিনে জনগনের বুকেই টার্গেট করে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে সুশীল,সমাজের এই এককেন্দ্রিক অধঃপতন দেখেও চুপ করে বসে থাকে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে সমাজ কর্মী, সমাজের এত অনাচার তার সমাজদর্পণে তুলে ধরতে পারে না আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে সংবাদমাধ্যম, তার স্বচ্ছ সংবাদ দিয়ে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরতে পারেনা আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে নেতা, তার জনগনের আহাজারি দেখেও তার দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে সমাজপতি, তার সমাজের এই স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব দেখার পরেও বলে দেশ উন্নতি হয়েছে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে নেত্রী, তার একক পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে বছরে চারশো'ক্রোর অর্থ অপব্যায় করতে দ্বিধাবোধ করে না আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে দপর্ণ, সমাজের এত অনাচার আর খামখেয়ালী তুলে ধরতে ব্যর্থ হয় আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে বিচারক, আইনের পারপ্যাচে সাধারন কৃষকের বছরের পর বছর জেল দেয়,আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে আইন,সাধারণ মানুষের নিঃস্ব করে দেয় আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে নেতৃত্ব, সমাজের ভঙ্গুর প্রকৃতি বুঝেও না বোঝার ভান করে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে শিক্ষক, পদ পদবী বলে ছাত্রী ভোগের বাসনা করে আমি ঘৃণা করি।
যে নেত্রী,হাজার মানুষের লাশের উপর দাড়িয়ে মৃদু হাসি দিতে পারে আমি তাকে ঘৃণা করি।
যে দেশ,পাশের দেশের জন ভোগ দেখেও তার অবৈধ ফায়দা লুটতে ব্যতিব্যস্ত, আমি তাকে ঘৃণা করি।