ক্ষমা আর মনুষ্যত্ব
মাহমুদুল হাসান শাওন

ক্ষমা এক মহৎ গুন,পারলে ক্ষমা করো
না পারলে তবুও তুমি প্রতিশোধপরায়ন হয়ো না
একমাত্র ক্ষমার অভাবে জগতসংসারে কতসব হানাহানি।
জগত তরে শুনিয়েছে কতসব মহাজন ক্ষমার মহাবাণী।
নিত্যদিনের চলমান-চিত্রে ধারণ করে আছে কতজ্ঞানী।
তবুও কতইনা ক্ষমার অভাব জেগেছে এই জগতজানীতে।

মানুষ বড়ই রঙ্গসঞ্চার এগিয়ে এসেছে যুগ
একই তালে এগিয়ে এসেছে কতসব হানাহানি।
মিথ্যা সুখের লাভের আশায় দিচ্ছে কত মহাবাণী
আদেও সেটা জগত ভুলানো মিথ্যাগল্প বাণী।
একমাত্র ক্ষমার অভাবে মানুষ হয়ে উঠে হিংস্র
মানুষ কথায় কথায় হয়ে উঠে হিংস্র
কোথায় ভেসে গেলো সব শিক্ষাসংস্কৃতি আর ঐতিহ্য।

পৃথিবী নাকি সভ্যতার শীর্ষে উঠে গেছে
এই যদি হবে,তবে কোথায় গেলো পৃথিবীর বাসিন্দাদের সুখ কোথায় গেলো সব শান্তি।
পত্রিকার পাতা খুলতেই বুকটা ধক করে উঠে
জ্বলছে প্রসাদ পালাচ্ছে মানুষ সব প্রানের ভয়ে
আকাশের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ছুটে যায় সব মারণাস্ত্র।
বাবার হাতে খুন হচ্ছে সন্তান
সন্তানের ঘাড়ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ছে শত-শত বাবা-মা।
স্বামী স্ত্রী কে করছে অবিশ্বাস, ভেঙে যাচ্ছে সব ঘর সংসার।
বলতে পারেন এইসবের শেষ হবে কখন?

শেষ হবে তবে যদি রাখো বিশ্বাস,
ছাড়ো একসাথে নিঃশ্বাস
ভেঙে দাও সব অগ্নিদুয়ারী
ভেঙে দাও সব অবিশ্বাস।
নতুন স্রোতের ধারার মত ছড়িয়ে দাও আশ্বাস।
এইতো পৃথিবী গড়ে উঠবে নতুন ক্ষমার আশ্বাসে।