বৃক্ষ কাননে জন্মি উঠলো সবুজ রঙের বৃক্ষ।
কেউ বললো সবুজ পাতার পত্র দেহী
কেউ বললো সবুজ পাতার বৃক্ষ।
কেউবা হাসিয়া রঙ্গ করিয়া কহিলেন বটে
এই বৃক্ষ মাথামোটা হবে,এই কাষ্ঠ নয় কোন কাজের বটে
কিএা সময় করিয়া ক্ষরণ কিবা জন্য করছো বটে
এতই বা সময় হরণ হইবে তো তোমার পণ্ডশ্রম।
বৃথা সময় পণ্ড করিয়া কি করিয়াছো হায়
ভেবো দেখো তুমি একা নিরালায়।

সবকিছু দূরে ছাড়ি,খোদার উপর আঁচল ছাড়ি
করিলাম তারে আদর ভারী উঠতে উঠতে মাথা ছাড়ি দাড়িয়ে রইলো গায়।
দরকার অদরকার সকল দরকারে
বট বৃক্ষের উদর তারে ধরে রেখেছে মোদের গায়।
শীতল দিনে কোকিল গানে গরম দিনে বায়ুর টানে
গ্রীষ্ম দিনের ছায়া দানে ধৈর্য ধরে দাড়ায় আছে আমাদের এই গায়।
দিন প্রহরে বেলা মাথায় দাঁড়ায় থাকে ঠাঁই
দিনের আলো ফুরায় এলে রাতের আঁধার নেমে গেলে চুপটি করে দাঁড়ায় থাকে আমাদের এই গায়।
ঝড়ঝাপটা শীত প্রহরে,বান বন্যা ঘূর্ণি ঘরে
কত কিছু মাথায় করে কেমনে একলা দাঁড়ায় থাকে আমাদের এই গায়।
মানুষ তরে জীবন ভরে উঠলো জেগে নতুন করে
এ যেন এক স্রষ্টা কর্তৃক নিয়ম বাঁধা রায়।

২৮-০৩-২০২৪
(গ্রামের বটবৃক্ষের মাহাত্ম্য উপলব্ধিতে)