হয়তো তুমি সন্ধ্যে প্রতি
ঘরের কোণে পড়তে বসো
কপাল গুজে ঠোট কামড়ে
মনযোগে অংক কষো।
ইচ্ছে হলেই তোমার পাশের
জানালাটা ইকটু খোলো
মন চাইলে তার উপরে
হটাৎ করেই পর্দা ফেলো।
বৃষ্টি এলে হয়তো আবার
পর্দা ঠেলে বাদল দেখো
ঘাড় ফিরিয়ে অবাক মুখে
বৃষ্টিতে চোখ রাখতে শেখো।
মন চাইলেই হাত বাড়িয়ে
মেঘের ফোটা গায়ে মাখো
উষ্ণাতে মন চায়ের কাপে
তোমার কোমল হাতটি রাখো।
হয়তো কোন সন্ধ্যে তুমি
পাওনা খুঁজে পড়ার মানে
সেদিন দেখি গান-শুনা তার
ঝুলছে তোমার নরম কানে।
হয়তো তখন গানের আবেগ
তোমার মনে স্বপ্ন আঁকে
সেই স্বপনে মনটা তোমার
ভুল করে হউক কাউকে ডাকে।
সে ডাক শুনে আমি পাগল
তোমার ছবি আঁকি মনে
তারার মেলায় চাঁদের ছবি
মিলাই আমার নীল গগনে।
ঠিক এভাবেই দিন প্রতিদিন
তোমার ঘরে সন্ধ্যা নামে
দেখে তোমার সন্ধ্যানামা
মনের ব্যথা ইকটু থামে।
এমনি করেই মাসের শেষের
দু’দিন তোমার সন্ধ্যা দেখি
আর বাকি দিন সন্ধ্যা দু’টি
স্মৃতির পাতার লাইনে লিখি ।