আমি বড় তৃষ্ণার্ত
বুকে আমার তৃষ্ণার ব্যথা খুব,
তাই বুঝে না বুঝে রঙিন জলেতে দিয়েছি গোপন ডুব,
গিলেছি রং চটা সব জল
গেয়েছি মিথ্যে তৃপ্তির গান
অথচ তৃষ্ণায় তৃষিতই হলো প্রাণ।
একথা শুনে তুমি রেগে বললে!
বোকা জলতো আমার কাছেই ছিল
ছিল গঙ্গার পবিত্র ঢেউ ছিল শীতল শুভ্র শিলও
মরুতে জল খোঁজার আগে আমায় ডাকনি কেনো!
কেন অসময়ের তৃষ্ণা নিয়ে অজাগাতে জল খুঁজে
আমায় করেছো হেনো!
নাকি জলকে আমার অপবিত্র বলেই জানো ?
বলছি আমায় একটু বিশ্বাস কর!
যতটা করা যায় একটা মাকড়সার ঘরকে
অতটুকুই হয়ত যথেষ্ট হবে চিনতে আমার মনকে
আমি জানি,
তুমি গঙ্গার ঢেউয়ে ভাসা শুভ্র কোমল কামিনী,
যতটা পবিত্র তোমার জল তার চেয়ে পবিত্র তুমি,
তবে অসময়ে তৃষ্ণায় হতে পারে আমার
সময়ের কোন ছল,
তৃষ্ণা মেটাতে ঘোলা হতে পারে তোমার কাখের জল,
তবে কেমন করে তোমার থেকেই নেই পিপাসার জল
অথচ আজও শুনছি এ বুকে অশ্লিল কোলাহল।