পুবাকাশের নতুন সূর্য
শিউলিময়ী ভোরের,
কাঁচ-গুড়ো মিহি শিশিরের ফোঁটা
নব জাতক কোন ফুলের।
কাঁচা রৌদ্রের মিষ্টি আভাস
ঘুম ভাঙ্গা খোলা জানালার,
দীপ্তির আবেশে স্বপ্নিল আকাশ
খাঁচা ভেঙ্গে উড়া বলাকার।
পূর্বাহ্নের তরুণ রৌদ্র
চির শুভ্রপুষ্প কামিনীর
তাকে ঘেরা নীল অন্তরীক্ষ
শাড়ী হয়ে আছে লাবনীর।
মধ্যবেলার প্রখর সূর্য
অস্থির ছবি সুদানের,
তার থেকে ঝরা গরমের তাপ
ধান শুকাতে দেয়া উঠানের।
ক্লান্ত দুপুরে বটের ছায়া
শ্রান্ত কোন পথিকের
মলিন রোদে-মিনারে রক্তের ছোপ
ভাষা সৈনিক রফিকের।
পড়ন্ত বেলার অগ্নি-বৃত্ত
কপালের টিপ সায়মার,
বিকেলের কড়া লালিমার আভা,
কৃষ্ণচ‚ড়ার প্রশাখার।
লাল সূর্যের ডুবে যাওয়া দৃশ্য
উদাস কোন গোধুলীর,
হবু সন্ধ্যার করুণ চাহনি
চাপা ব্যথা কোন তরুণীর।
আধাঁরেতে আলো হারাবার খেলা
লুট হওয়া হিরে-দানি,
ঠিক তখনের ঘরে ফেরা কাক
আঁধারের হাতছানি।
পশ্চিমে জ্বলা শুকতারাটি
দিকহারা কোন নাবিকের,
এরপর বাড়ে আঁধারের জাল
ষড়যন্ত্রের মত নারীদের।
জ্যোৎস্নায় ভরা রেশমের চাঁদ
মায়াভরা কোন রাত্রির,
বাগানেতে ফোটা নব ফুলকলি
নাতি লাগে নয়া পাত্রীর।
মাঝরাতে থামা ঘন নিরবতা
মনে জমা শত দুরাশার,
তার মাঝে বওয়া শীতের বাতাস
ঝরে পড়া জল কুয়াশার।
কালো আকাশেতে তারকার মেলা,
আলো নীল রাশি জোনাকির,
বাঁশঝাড় ওঠা ঝিঁঝিঁর ঐ গান
সুর যেন কোন ধ্র“পদীর।
আঁধারের ছবি বিদায়ের কালে
ছলছল আঁখি নাফিসার,
নিশীথের শেষে মিথ্যের আলো
শেষ লাইন নিশি-কবিতার।